ইউক্রেন দাবি করেছে যে, তাদের সেনারা দক্ষিণ-পূর্বে রাশিয়ান বাহিনীর কাছ থেকে তিনটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে। এটি ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পর প্রথম মুক্ত করা জনবসতি বলেও জানানো হয়েছে। প্রাথমিক এই অগ্রগতি নিয়ে উদযাপন করছেন ইউক্রেনীয় সেনারা।
আলজাজিরা জানিয়েছে, রোববার ইউক্রেনের ৬৭তম জেগার ব্রিগেডের প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ইউক্রেনীয় সেনারা বোমা বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত একটি ভবনে ইউক্রেনের পতাকা উত্তোলন করছেন, যা দোনেৎস্ক অঞ্চলের ব্লাহোদাত্নে বসতিতে অবস্থিত। তবে ভিডিওতে প্রকাশিত তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের তাভরিয়া সামরিক সেক্টরের মুখপাত্র ভ্যালেরি শেরশেন টেলিভিশনে বলেছেন, আমরা পাল্টা আক্রমণমূলক পদক্ষেপের প্রথম ফল দেখতে পাচ্ছি।
অন্যদিকে ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী দক্ষিণের পাশের গ্রাম মাকারিভকাও পুনরুদ্ধার করেছে। দক্ষিণ ফ্রন্টে দুই দিক দিয়ে ৩০০ থেকে ১৫০০ মিটার অগ্রসর হয়েছেন সেনারা।
নেসকুচনের ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা ইউনিটও টেলিগ্রামে তাদের সেনাদের একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করেছে, যেখানে ওই এলাকার ইউক্রেনীয় অবস্থানের সবচেয়ে কাছের গ্রামে তাদের পতাকা ধরে রাখার দৃশ্য দেখা গেছে। তবে এটিরও সত্যতা প্রমাণ করা যায়নি।
মালিয়ার বলেন, আমাদের বাহিনী যেদিকে রক্ষণাত্মক অবস্থানে আছে, সেদিকে নতুন করে কোনো অবস্থান হারায়নি।
অন্যদিকে রোববার রাতে দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার সেনাদের প্রশংসা করেছেন। তবে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো এলাকার নাম উল্লেখ করেননি।
শুধু পূর্ব ও দক্ষিণে লড়াইয়ের দুটি প্রধান সেক্টরের কথা উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘অবশ্যই আমি এই দিনের জন্য আমাদের সেনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
‘আমাদের প্রতিটি যুদ্ধ ব্রিগেড, আমাদের প্রতিটি ইউনিট,’ বলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।