রুশ সামরিক বাহিনী ও দেশটির ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের মধ্যে নতুন করে কোন্দল দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে কিয়েভ বড় ধরনের হামলা চালাতে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। তবে রাশিয়ার এ দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন। খবর বিবিসির।
যুদ্ধে রাশিয়ার ৭১ সেনা নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন সের্গেই শোইগু। ইউক্রেনীয় সেনাদের হতাহতের বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি গত সোমবার সন্ধ্যায় নাকচ করেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন। তিনি বলেন, এটি ‘গণহত্যা’র শামিল হবে।
ইয়েভজেনি প্রিগোশিন টেলিগ্রামে লিখেছেন- ‘অতএব, আমি মনে করি, এগুলো কেবলই কিছু অতিরঞ্জিত কল্পনা।’
মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আবার বলেছে, সবশেষ এ হামলার চেষ্টায় ইউক্রেনের ৩ হাজার ৭০০ জনের বেশি সেনা হতাহত হয়েছেন।
রাশিয়া বলেছে, দোনেৎস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের দীর্ঘ প্রতিশ্রুত আক্রমণের অংশ ছিল এ হামলা। গত রোববার ও সোমবার এ হামলা করেছিল ইউক্রেন। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী গত সোমবার বলেছে, অঞ্চলটিতে বড় ধরনের হামলার বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, হামলাকালে তার বাহিনীর হাতে ইউক্রেনের ৩ হাজার ৭১৫ জনের বেশি সেনা হতাহত হয়েছে। ইউক্রেনের বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনের আক্রমণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। শত্রুকে রুখে দেওয়া হয়েছে। রুশ সেনা ও কর্মকর্তারা যুদ্ধে সাহস, বীরত্ব দেখিয়েছেন।
এদিকে বাখমুতের উপকণ্ঠের বার্খিভকা গ্রাম থেকে রুশ বাহিনী ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওয়াগনার প্রধান। একে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মস্কো ইয়েভজেনি প্রিগোশিনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে। মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়- ওয়াগনার প্রধানের অভিযোগ বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বাখমুতের শহরতলিটি (বার্খিভকা) রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করে রাশিয়া।