ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

আবেদন কমেছে জাবি ভর্তি পরিক্ষায়, আসন প্রতি লড়বেন ১৩৬ জন

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, জুন ৫, ২০২৩

আবেদন কমেছে জাবি ভর্তি পরিক্ষায়, আসন প্রতি লড়বেন ১৩৬ জন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য ১ হাজার ৮৮৮টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৭ জন। এ হিসাবে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৩৬ জন ভর্তি-ইচ্ছুক। গত বছর এই আসনসংখ্যার বিপরীতে আবেদন পড়েছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৬০৫টি। ওই বছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৫১ জন ভর্তি-ইচ্ছুক। সে হিসাবে এ বছর ৩৪ হাজার ৭৪৮টি আবেদন কমেছে।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আবু হাসান এসব তথ্য জানান। এর আগে ৩১ মে মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়। আবেদন শুরু হয়েছিল গত ৯ মে। এ বছর মোট ৭টি ইউনিটের অধীনে ৩৪টি বিভাগ ও ৩টি ইনস্টিটিউটে ভর্তি পরীক্ষা হবে। আবু হাসান বলেন, ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো তারিখের মধ্যে, অর্থাৎ ১৮ থেকে ২২ জুনের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোন দিন কোন ইউনিটের পরীক্ষা হবে, তা পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি ৭৬ হাজার ৬৪টি আবেদন জমা পড়েছে জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'ডি' ইউনিটে। সবচেয়ে কম ৫ হাজার ৬৫টি আবেদন জমা পড়েছে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ 'সি–১' ইউনিটে। এ ছাড়া গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিভুক্ত 'এ' ইউনিটে ৬১ হাজার ৮৬৪টি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদভুক্ত 'বি' ইউনিটে ৪১ হাজার ৪৬৯ জন, কলা ও মানবিক অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটভুক্ত 'সি' ইউনিটে ৪১ হাজার ৪৪৫ জন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত 'ই' ইউনিটে ১৮ হাজার ৯৭ জন এবং আইবিএ-জেইউ ইউনিটে ৫ হাজার ৮৪৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।

ভর্তি পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, এবারও পালা পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ৫৫ মিনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তি-ইচ্ছুকদের ৮০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। বহুনির্বাচনী এ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২০ নম্বর কাটা যাবে। এই ৮০ নম্বরের সঙ্গে ভর্তি-ইচ্ছুকদের এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ–এর ভিত্তিতে ২০ নম্বর যোগ করে মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে।

গত বছরের তুলনায় আবেদনের সংখ্যা কমের কারণ কী হতে পারে, জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব আবু হাসান বলেন, 'আবেদন সংখ্যা একেক বছর একেক রকম হয়। গতবার যা ছিল তার আগেরবার আরও বেশি ছিল। তবে কী কারণে কম হচ্ছে, এটা তো জরিপ করা হয়নি, তাই বলতে পারছি না।