ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ |

EN

সংবিধান কি বড় পাথর যে সেটা সংশোধন করা যাবে না: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, মে ২৮, ২০২৩

সংবিধান কি বড় পাথর যে সেটা সংশোধন করা যাবে না: রিজভী
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক কখনোই সংবিধানে ছিলো না। আওয়ামী লীগ সহ সকল দল আন্দোলন করে এনেছে। এখন আমরা আন্দোলন করছি। তাহলে সংবিধান কি বড় পাথর যে সেটা সংশোধন করা যাবে না। জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান; ফলে এটা সংশোধন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

শনিবার (২৭ মে) বিকেলে যশোর শহরের ভোলাট্যাঙ্ক রোডে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের দাম বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে রিজভী আরো বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীসহ দেশবাসী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আমরা এখন বৃহৎ কারাগারে বন্দি।


নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আলোর গতিতে বাড়ছে। চিনি এখন বিদেশীনি হয়ে গেছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা, লন্ডনে গিয়ে উন্নয়নের গল্প শোনান। 

রিজভী বলেন, হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে ওটা নির্বাচন হবে না। রাতেই ভোট হয়ে যাবে। পুলিশ যেহেতু লাঠিয়াল বাহিনী হয়েছে তাই হাসিনার নেতৃত্বে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। 

তিনি বলেন, আমেরিকা নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করলেও সরকার তা লুকিয়া রেখেছিলো। শেখ হাসিনা আমেরিকার ওপর রাগান্বিত। তাঁর প্রতিহিংসা কেমন তা এখন বিষও টের পাচ্ছে। কিন্তু আমেরিকাকে প্রতিহিংসা দেখাতে গিয়ে তিনি লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকের ক্ষতি করতে চান। 

রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা ও তাঁর লোকজন মনে করেন এ দেশের মানুষ তাদের ক্রীতদাস। এদের কথা বলার অধিকার নেই। তারা মনে করেন এ দেশ তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। অথচ আমরা মনে করি এ দেশ জনগণের। এখানে প্রত্যেকের সমান অধিকার।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ কোথাও বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিতে চায় না। তারা গুন্ডা সন্ত্রাসীর মতো আচরণ করে। আওয়ামী লীগ আর রাজনৈতিক দল নয়, এটা এখন সন্ত্রাসী সংগঠন। ওরা নির্বাচনে জিততে পারবে না জেনেই সন্ত্রাসী, গুন্ডামি করে টিকে থাকতে চায়। এদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বিএনপির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপুসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে সমাবেশ সফল করতে সকাল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হন। শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে ঘিরে সতর্ক অবস্থায় সমাবেশ স্থলের চারপাশে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।