গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন সব কেন্দ্রের মোট ফলাফলে জয়লাভ করেছেন বলে দাবি করে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ফল প্রকাশে বিলম্বের মাধ্যমে জনরায় উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত সোয়া ৮টার দিকে জয়দেবপুরে বঙ্গতাজ মিলনায়তনে ফলাফল পরিবেশন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের তার মায়ের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন তিনি।
বিকেল ৪টায় ভোট শেষ হওয়ার চার ঘণ্টারও বেশি সময় পরে জাহাঙ্গীর যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন পর্যন্ত কেবল ১২ কেন্দ্রের মেয়র পদের ফল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানের নৌকার চেয়ে ৯১ ভোটে এগিয়ে ছিল জায়েদা খাতুনের টেবিল ঘড়ি।
ততক্ষণে সব কেন্দ্রের ফল পেয়ে গেছেন দাবি করে জাহাঙ্গীর বলেন, দিনে ভোট হয়েছে, দিনে রেজাল্ট নিয়ে যেতে চাই। আমি সব সেন্টারে খবর নিয়েছি; আমার মা জিতে গেছে। আমি রিটার্নিং অফিসারের অফিসে গিয়েছিলাম, কেন সে দেরি করতেছে? তাড়াতাড়ি যেন রেজাল্টটা দিয়ে দেয়। আমার রেজাল্ট যদি সঠিকভাবে এখানে না দেওয়া হয়। তাদের কাছে যে রেজাল্ট শিট আছে সেটা যদি এখানে প্রয়োগ না করা হয় তাহলে তো বুঝতেই পারছেন এখানে কী হচ্ছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে গাজীপুরের মেয়র হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে তাকে দলীয় পদ হারাতে হয়, মেয়াদপূর্তির আগেই হারাতে হয় মেয়র পদ।
এবারের নির্বাচনের আগে দলের ক্ষমা পেলেও মনোয়ন পাননি জাহাঙ্গীর, আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আজমত উল্লাকে।
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় জাহাঙ্গীরকে ফের বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে ঋণ খেলাপি কোম্পানির জামিনদার হওয়ার অভিযোগে।