Can't found in the image content. গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ভোটের আগের দিন প্রার্থিতা হারালেন যিনি | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ভোটের আগের দিন প্রার্থিতা হারালেন যিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, মে ২৪, ২০২৩

গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ভোটের আগের দিন প্রার্থিতা হারালেন যিনি
রাত পোহালেই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক সব প্রার্থী প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগেই কপাল পুড়লো ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আজিজুর রহমানের। ভোট কেন্দ্র ঘিরে ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

‘নৌকায় ভোট না দিলে ভোটকেন্দ্রে আসতে হবে না’ আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এমন কথা বলার অভিযোগ রয়েছে। এই কথার মাধ্যমে ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করায় তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।

বুধবার (২৪ মে) নির্বাচন কমিশন আজিজুরের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায়। আর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আজিজুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে তাকে ডেকেছিল ইসি। তার বক্তব্য শোনাসহ এই সংক্রান্ত শুনানি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর নির্বাচন হয় নির্দলীয় প্রতীকে। মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে লড়ছেন। আর পুবাইল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর কাউন্সিলর পদে লড়ছেন লাটিম প্রতীক নিয়ে। তিনি ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর।

গত সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় পুবাইল এলাকার কলের বাজার নামক স্থানে  জনসভার সময় ‘নৌকা ছাড়া কাউকে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেওয়া হবে না’ এমন বক্তব্য দেন। তার ওই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

আজিজুর বাদ পড়ায় ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে এখন বাকি দুজনর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ইভিএমের ভোটের ব্যালটে তার প্রতীকও থাকবে না। এখন ওই ওয়ার্ডে অন্য যে দুই প্রার্থী রয়েছেন- যার একজন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল (ঠেলাগাড়ি) এবং কে এম নজরুল ইসলাম (ঘুড়ি)। তাদের মধ্যে ভোটাভুটি হবে।

এদিকে প্রার্থিতা বাতিলের খবর শুনে ইসির সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন আজিজুর। তিনি জানান, নির্বাচনের আগের দিন বাতিলের সিদ্ধান্ত এসেছে, এখন আর কিছু করার নেই। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার মতো সময় নেই। সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই।