ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, আগস্ট ৯, ২০২১
যেকোন পুরুষকে
বশীকরণের ক্ষমতা ছিলো পরীমনির। নানা ছলচাতুরী, অনিয়ম, আবেগ দিয়ে সহজেই মোহাচ্ছন্ন করতে
পারতেন পরীমনি। এ নিয়ে পরীমনি প্রকাশ্যেই গর্ববোধ করতেন। বিভিন্ন মহলে তিনি এ নিয়ে
দম্ভাক্তিও করতেন। এ কাজে যে তিনি পটু ছিলেন তার প্রমাণও পাওয়া যায় বিভিন্ন সময়ে। এর
সর্বশেষ উদাহরণ হলো, পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েন বশীকরণ। সাকলায়েন একজন মেধাবী পুলিশ
কর্মকর্তা। বোট ক্লাবের ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। এই তদন্তকারী কর্মকর্তাকে
পটিয়ে ফেলেন পরীমনি। বিভিন্ন মহল বলছেন, পরীমনি যে ড্যাম কেয়ার, বেপরোয়া জীবন যাপন
করতেন, তার পেছনে অন্যতম কারণ ছিলো, পরীমনির আত্মবিশ্বাস। পরীমনি বিশ্বাস করতেন, যেকোন
ব্যক্তিকেই পরীমনি ম্যানেজ করতে পারতেন। এখন আটকের পর পরীমনির বশীকরণ জাদু সম্পর্কে
চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায় পরীমনির বশীকরণ
ফর্মুলার ৫টি ধাপ ছিলো-
প্রধম ধাপ:
আবেগঘন কথাবার্তা; পরীমনির বশীকরণ ফর্মুলার প্রথমধাপ হলো আবেগঘন কথাবার্তা। যেকোন ব্যক্তির
সঙ্গে পরিচিত হলেই তার সঙ্গে আবেগময় কথাবার্তা বলতেন পরীমনি। এরকম আবেগময় কথাবার্তায়
সহজেই কাউকে কাছের করে নিতেন পরীমনি।
দ্বিতীয় ধাপ:
জন সংযোগ; পরীমনি বেখেয়ালি, বোহেমিয়ান জীবন যাপন করলেও তার জনসংযোগ ছিলো খুবই শক্তিশালী।
কারো সাথে পরিচয় হলে, একটু সখ্য হলেই তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন পরীমনি। সম্পর্কটা
এগিয়ে নিয়ে যেতেন।
তৃতীয় ধাপ:
কষ্টের কথা বলা; কাউকে ঘনিষ্ভাবে পাবার আগে পরীমনি তার কষ্টের কথা বলতেন। তার অতীত
জীবনের কষ্ট, পিতা-মাতা হারানোর গল্প বলে, সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করতেন।
চতুর্থ ধাপ:
খোলামেলা সম্পর্ক; পরীমনির বশীকরণের একটি বড় অস্ত্র ছিলো যে, দ্রুতই তিনি খোলামেলা
সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারতেন। খুব সহজেই তিনি সম্পর্ককে স্পর্শকাতর দিকে নিয়ে যেতে পারতেন।
এভাবে মুখের কথায় অনেককেই বিয়ে করেছিলেন পরীমনি। এক ছবির শুটিং করতে গিয়ে সহকারী পরিচালককে
বিয়ে করে ফেলেন। যদিও সেই বিয়ে বেশি দূর গড়ায় নি।
পঞ্চম ধাপ:
আড়ষ্টহীন শারীরিক সম্পর্ক; পরীমনি শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে আড়ষ্টহীন। যেকোন ব্যক্তির
সঙ্গে সহজেই শারীরিক সম্পর্ক করতে পারতেন।
মূলত এই পাঁচ
ফর্মুলায় তিনি ‘বশীকরণ’ করতেন। আর এজন্যই পরীমনি বিশ্বাস করতেন,
তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সৌজন্যে: বাংলাইনসাইডার