ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

শেখ হাসিনার প্রতিটি চিন্তা-ভাবনা ও সিদ্ধান্তই স্মার্ট-বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, মে ১৬, ২০২৩

শেখ হাসিনার প্রতিটি চিন্তা-ভাবনা ও সিদ্ধান্তই স্মার্ট-বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি চিন্তা-চেতনা এবং গৃহীত সকল সিদ্ধান্তই স্মার্ট। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশের সকল নাগরিকের চিন্তা-ভাবনাও স্মার্ট হতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী। 

আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪২ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে "শেখ হাসিনার ভাবনায় স্মার্ট বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা করোনা মহাসংকটে টিকা ক্রয়ের জন্য অগ্রীম টাকা প্রদান করে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। খাদ্য সংকট এড়াতে এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে সেজন্য ফসল উৎপাদনের আহবান জানান। ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানসহ যেসকল নির্দেশনা প্রদান করেছেন বা করছেন এবং সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন তা একজন স্মার্ট প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই সম্ভব। শেখ হাসিনার মত একজন স্মার্ট প্রধানমন্ত্রী পাওয়ায় আমরা সত্যিই ভাগ্যবান। যার ভিত্তি রচনা করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকেই বুকে লালন ও ধারন করেন, জানান তিনি।

টিপু মুনশি আরো বলেন, শেখ হাসিনা একবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে বলেছিলেন আমাদের দেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় ভূমিতে যদি চা চাষ হয় তাহলে আমাদের ভূমিতে হবে না কেন! এরপর তাঁর নির্দেশে পঞ্চগড়সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় চা চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ যে চা উৎপাদন হচ্ছে তা দেশের ১৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে এবং দিন দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা তাঁর স্মার্টনেস এবং সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল।

তিনি বলেন, রানা প্লাজা দূর্ঘটনার পর রপ্তানি নিয়ে যখন আমরা সবাই দিশেহারা তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন  এতো ভেঙ্গে পড়ার কিছু নেই। তারপর প্রধানমন্ত্রীর নেয়া পদক্ষেপের কারণে রপ্তানির উপর কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয়। তাঁর চিন্তা-চেতার কারণে বিশ্বের এখন ১০টি গ্রীন ফ্যাক্টরির ৭ টি এবং শীর্ষ একশোটি সবুজ শিল্প প্রকল্পের মধ্যে ৪৮ টি বাংলাদেশে রয়েছে।

এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পন্নোত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর হবে। এরপর ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধা পেলেও কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। 

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন বাজারে তেল ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও কিছু অসদোপায়ী ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রয় করছে। বাজার মনিটরিং এবং এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি বলেন, পিঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে। কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য পিঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে না। কৃষি মন্ত্রণালয় বাজার পর্যবেক্ষণ করছে। যদি দাম না কমে তাহলে তারা ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি) এবং মোঃ আফিজুর রহমান ডিরেক্টর দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলা২৪।