Can't found in the image content. মোখার বাতাসের প্রভাবে সেন্টমার্টিনের ভবনগুলো কাঁপছে: আবহাওয়া অফিস | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

মোখার বাতাসের প্রভাবে সেন্টমার্টিনের ভবনগুলো কাঁপছে: আবহাওয়া অফিস

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, মে ১৪, ২০২৩

মোখার বাতাসের প্রভাবে সেন্টমার্টিনের ভবনগুলো কাঁপছে: আবহাওয়া অফিস
সেন্টমার্টিনে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এটির প্রভাবে বৃষ্টি না হলেও সেন্টাটমার্টিনে বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। এখন সেখানকার বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। বাতাসের কারণে সেখানকার ভবনগুলো কাঁপছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আজিজুল ইসলাম।

রোববার (১১ মে) দুপুর ১টায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা জানান। ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র শুধু সেন্টমার্টিন ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো উপকূলে আঘাত করবে না বলেও জানান তিনি।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র এখনো আঘাত করেনি। এটি বিকাল ৩টা নাগাদ আঘাত হানবে। ঘূর্ণিঝড়ের গতি মিয়ানমারের দিকে হওয়ায় এবং এর বডি বাংলাদেশ থেকে দূরে থাকায় বৃষ্টি কম হচ্ছে। 

ইতোমধ্যে টেকনাফে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করবে বিকাল ৩টা নাগাদ। বিকাল ৪টা থেকে জোয়ারের সময়, তখন পানির উচ্চতা বাড়বে। সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব শেষ হবে বলেও জানান তিনি।

আগামীকাল ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেটে বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের দেওয়া ২০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সাবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রমরত ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ বেলা ৩টা নাগাদ উপকূল এবং সমুদ্র ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা নাগাদ মিয়ানমারের সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করবে বলেও বুলেটিনে জানানো হয়।

বুলেটিনে আরও জানানো হয়, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো এখনও ৮  নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরে ৮ নম্বর এবং মোংলায় ৪ নম্বর সংকেত অব্যাহত থাকবে।

একইসঙ্গে কক্সবাজার চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনার নৌবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌমহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ এবং বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ এবং বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর,চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। 

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়।