দেশের কয়েক জেলায় আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত ৮টার মধ্যে কালবৈশাখী ঝড় ও তীব্র বজ্রপাত হতে পারে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল। দুপুরে তার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান তিনি।
ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সব জেলায় এবং রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ কালবৈশাখী ঝড় ও তীব্র বজ্রপাতের আশঙ্কা প্রায় ১০০ শতাংশ।
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন, দুপুর পৌনে ৩টার পর থেকে রাত ৮টার মধ্যে এসব জেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও তীব্র বজ্রপাত হতে পারে।
তিনি বলেন, শেরপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ জেলায় ব্যাপক বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় শতভাগ। জীবন বাঁচাতে ঘরে থাকুন আকাশে মেঘ সরে না যাওয়া পর্যন্ত। সিলেটে হওয়ার আশঙ্কা বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জে বিকেল ৪টার পরে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার পর‘মোখা’র গতি নেমে এসেছে অর্ধেকে। অর্থাৎ গতি কমিয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করছে ঝড়টি। এতে বাড়ছে আতঙ্ক, আশঙ্কা করা হচ্ছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বুধবারও (১০ মে) ঘণ্টায় ১৫-১৬ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে এটি রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য়।
বৃহস্পতিবার সকালে এক ব্রিফিংয়ে ঘূর্ণিঝড়টির পূর্বাভাস তুলে ধরেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের চারপাশে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। এটি বর্তমানে ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে স্থলভাগের দিকে। এ গতি অব্যাহত থাকলে রবিবার (১৪ মে) দুপুর নাগাদ এটি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।