ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

বঙ্গবাজারের পোড়া টাকা পরিবর্তনে যা বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, এপ্রিল ১০, ২০২৩

বঙ্গবাজারের পোড়া টাকা পরিবর্তনে যা বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে অনেক ব্যবসায়ীর নগদ টাকা পুড়ে গেছে। সেই টাকা পরিবর্তন করে নতুন টাকা দেবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তাদের দাবি, নির্দেশনা অনুযায়ী টাকার অর্ধেক পুড়লেই মালিক টাকা পরিবর্তন করতে পারবেন না; পুরোটাই বাতিল বলে গণ্য হবে।

যদি অর্ধেকের কম পোড়ে সেই ক্ষেত্রে টাকার অবশিষ্টাংশের আনুপাতিক হারে টাকা ফেরত দেবে। এক্ষেত্রে নোট পরিবর্তন সম্পর্কিত নীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ছেঁড়া ও পোড়া টাকার বদল সম্পর্কিত নির্দেশনার ১১ ধারাতে বলা হয়েছে, কোনো টাকার কমপক্ষে ৫১ শতাংশ অবশিষ্ট থাকলে তার মালিক আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। এজন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি জিডি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্রসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি বিভাগে আবেদন করতে হবে।

পোড়া টাকার ৫১ থেকে ৭৫ শতাংশ অবশিষ্ট থাকলে পুড়ে যাওয়ার টাকার ৫০ শতাংশ পাবেন মালিক। আর ৭৬ থেকে ৯০ শতাংশ অবশিষ্ট থাকলে পাবেন ৭৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, এ সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু নির্দেশনা রয়েছে, সেটাই অনুসরণ করা হবে। পোড়া টাকাসহ ক্ষতিগ্রস্ত টাকার মালিক আবেদন করলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই নির্দেশনা অনুসরণ করে টাকা পরিবর্তন করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

তবে মালিক অর্ধেক বা অর্ধেকের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত টাকা তথ্য-প্রমাণসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরারবর আবেদন করলে টাকা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় আসতে পারে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। তবে এটা প্রায় অসম্ভব।

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান মালামাল ও নগদ টাকাসহ পুড়ে গেছে। আগের দিন দোকানে বিক্রি করে ক্যাশবাক্সে টাকা রেখে যান কোনো কোনো দোকান মালিক। পরের দিন দোকানে আসার আগেই আগুনের লেলিহান শিখায় সব পুড়ে শেষ হয়ে যায়। দেখা গেছে, একজন ক্যাশবাক্স থেকে পোড়া টাকার বান্ডিল নিয়ে অঝোরে কাঁদছেন।

জানা যায়, বঙ্গবাজারে আগুনে পোড়া টাকা পরিবর্তন করার জন্য একজন টাকার অংশসহ প্রয়োজনীয় ফর্মালিটি মেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি বিভাগে আবেদন করেছেন। আবেদনটি গ্রহণ করে কারেন্সি বিভাগ পরবর্তি শুনানির জন্য বৈঠকের দিন ধার্য করেছে। বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট রিফান্ড রিকুইজিশন-২০১২’ নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। অন্য কেউ আবেদন করলে তার ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।