সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নামে সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ মে ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) মামলাটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল।
এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। তাই ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর প্রতিবেদন দাখিলের নতুন ওই দিন ঠিক করেন।
গত বছর ১১ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় রোজিনা ইসলামকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোর্শেদ আলম।
এরপর চলতি বছর ২৩ জানুয়ারি মামলার বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানীর নারাজি আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক পিবিআইকে মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ।
২০২১ সালের ১৭ মে বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাংবাদিক রোজিনা। তাকে সেদিন ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সচিবালয় থেকে পুলিশি পাহারায় শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই রোজিনার নামে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। দণ্ডবিধি ৩৯৭ এবং ৪১১ অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ১৯২৩ এর ৩/৫ এর ধারায় এ মামলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।
যেখানে তার নামে সরকারি নথি চুরি ও ছবি তোলার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় একমাত্র আসামি ছিলেন রোজিনা ইসলাম। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ওই বছর ২৩ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর ভার্চ্যুয়াল আদালত পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।