অ্যান্টার্কটিকায় বরফ গলার কারণে ক্রমেই গতি হারাচ্ছে মহাসাগরের স্রোত। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই স্রোত বিশ্বজুড়ে প্রয়োজনীয় তাপ, অক্সিজেন, কার্বন এবং পুষ্টির যোগানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নতুন গবেষণা বলছে, অ্যান্টার্কটিকের বরফ যে হারে গলছে তাতে আগামী শতাব্দীতে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
জলবায়ু পরিবর্তনে বাড়ছে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা। এর বাইরে নয় অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশও। উদ্বেগজনক হারে গলছে হিমবাহ।
বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত নতুন গবেষণা বলছে, অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলের বরফ গলার কারণে গভীর সমুদ্রের স্রোতের প্রবাহ আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। যা পরিবেশের ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানীদের একটি দল বলছে, গভীর জলের প্রবাহ, যা সমুদ্রের স্রোত নিয়ন্ত্রণ করে সেটি ২০৫০ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ ধীর হয়ে যেতে পারে। এই স্রোতই বিশ্বজুড়ে প্রয়োজনীয় তাপ, অক্সিজেন, কার্বন এবং পুষ্টির যোগানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, স্রোতের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে সমুদ্রের বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। আইসক্যাপ থেকে মিঠা পানি গলে সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা কমে যাচ্ছে। এতে কমছে নিচের দিকের প্রবাহ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেখানকার জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব ফেলবে গোটা বিশ্বে। বাড়বে বৃষ্টি ও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা। ফলে আরও শীতল হতে পারে উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ এবং প্রভাব পড়তে পারে গভীর সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রতে।