ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরের ৪০ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে আজ ২৩ মার্চ থেকে। কিন্তু এসময় কিছু বিভাগের পরীক্ষা থাকায় অনেক শিক্ষার্থীকে হলে অবস্থান করতে হচ্ছে। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। এসময় হলের ডাইনিং ও ক্যাম্পাসের দোকানগুলোর মান ভালো না হওয়ায় রমজান মাসে হলে অবস্থান করা কষ্টকর হবে বলে মনে করছেন বেশিরভাগ শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের জন্য পাঁচটি আর মেয়েদের জন্য তিনটিসহ মোট আটটি হল রয়েছে। হলগুলোর ক্যান্টিন নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল অনেক আগে থেকে। শিক্ষার্থীরা জানান, হলের ডাইনিংগুলোতে কিছুদিন পরপর খাবারের দাম বাড়ালেও খাবারের মান কখনো বাড়েনি। তবে বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে রমজান মাসের ব্যাপারটি আলাদা। সারাদিন রোজা থেকে শিক্ষার্থীরা চায় একটু ভালো মানের খাবার খেতে। বাইরের দোকানগুলোতে খাবারের দাম অত্যধিক বেশি থাকায় শিক্ষার্থীদের সাশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হয়ে হলেই খেতে হয়। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতাশা ন্যায্যমূল্যে ভালোমানের খাবার খেতে পারলে উপকৃত হবেন তারা।
জান্নাতুল ফেরদৌস নামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের মেয়েদের হল সন্ধ্যার পরেই বন্ধ করে দেয়। এখন আমরা চাইলেও ছেলেদের মতো বাইরে খেতে পারবো না। এখন বছরের অন্যান্য দিনের মতো রমজান মাসেও যদি ভালো মানের বা পুষ্টিকর খাবার না দেয় তাহলেতো আমরা রোযা রাখতে পারবো না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, সামনে পরীক্ষা আর হলও খোলা থাকায় বাড়ি যায় নাই আর। হলের খাবারের কথা মন পড়লে ভাবি বাড়ি গেলই মনে হয় ভালো হতো। হলের খাবারের মান কোনদিনই ভালো ছিলো। কোনোরকম বেঁচে থাকার জন্য হলের খাবার খায়। এখন সারাদিন রোজা রেখে যদি পুষ্টিকর খাবার খেতে না পারি তাহলেতো অসুস্থই হয়ে পড়বো।
এছাড়াও নিটেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষার ডেট পড়ায় ইচ্ছে থাকলেও বাড়ি যেতে পারছি না। রমজান মাসে হলের ক্যান্টিন দুইবেলা ছাড়া বাকিটা সময় বন্ধ থাকে। এই দুবেলার খাবারই তৃপ্তির সাথে খেতে না পারি তাহলেতো অসুস্থ হয়ে যাবো।
রমজান মাসে খাবারের মান নিয়ে কথা হয় প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার সাথে। তিনি বলেন, হলগুলোতে ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খাবারের মান বাড়ানোর জন্য। এছারাও শিক্ষার্থীরা রেগুলার খাবারের সাথে এক্সট্রা ফি দিয়ে এক্সট্রা খাবার খেতে পারবে।