অনিয়ম হলে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনও বাতিল করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ইসি রাশেদা বলেন, অনিয়ম হলে গাইবান্ধার উপনির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনও বাতিল করে দেব। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা প্রয়োজন হবে আমরা সব ব্যবস্থা নেব। আমাদের একটাই মেসেজ, জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন। আমরা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। গাইবান্ধার উপনির্বাচনে যেমন ভোট বন্ধ করে দিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনেও অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব।
সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে কমিশনের কী পদক্ষেপ রয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আস্থা বিষয়টি তো মানসিক। কে কিভাবে আস্থা পাবে- তা তো আমরা বলতে পারব না। তবে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এমন কোনো কাজ করিনি যে কেউ আস্থা পাবে না। আমরা গাইবান্ধার উপনির্বাচনে সে প্রমাণ দিয়েছি।
পরিচয়হীনদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহের বিষয়ে ইসির এই কমিশনার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের একটি কমিটি কাজ করছে। কিভাবে তাদের এনআইডি দেওয়া যায় তা নিয়ে আমরা ভাবছি।
দাতা সংস্থাগুলোর কোনো সহায়তা জাতীয় নির্বাচনে নেবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে রকম যদি হয়, আমাদের তো নিতে অসুবিধা নেই। তবে কে কী দেবে বা কিভাবে হবে সেটা আগে দেখতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণের পর প্রথমে ৫০টি কেন্দ্রে বন্ধ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাও একটি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে ভোটগ্রহণের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি।