রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে ‘কোনো ধরনের ইস্যু তৈরি করে’ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে জন্য কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। রোজা ও ঈদুল ফিতর উদযাপন নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।
আইজিপি বলেন, "আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে কোন মহল যাতে কোন ধরনের ইস্যু তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সজাগ ও সতর্ক থাকাতে হবে।"
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা, সাম্প্রদায়িক বিরোধ, নিত্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট– ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে “কোনো কোনো মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা” করে থাকে। আর এক্ষেত্রে ছাত্র-শ্রমিকদের ‘জড়িত করার চেষ্টা’ চালায়।
এসব ব্যাপারেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন আইজিপি।
অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আতিকুল ইসলাম রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সম্ভাব্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বাজার মনিটরিং, শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় সভায় তুলে ধরেন।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অন্যান্য মহানগর পুলিশের কমিশনার এবং রেঞ্জ ডিআইজিরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সভায়।
রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ করে কেউ যেন বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করতে পারে সেদিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি।
তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে যেন কোনো ধরনের ‘অপ্রীতিকর অবস্থার’ সৃষ্টি না হয় সেজন্য শিল্প পুলিশকে তৎপর থাকতে বলেন তিনি।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির চলাচল রোধ, রমজানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যেন কোনো ধরনের ‘নাশকতার ঘটানা’ না ঘটে সেজন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নজরদারি বাড়ানো, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি প্রতিরোধে নিয়মিত টহল জোরদার করার উপর জোর দেন পুলিশ প্রধান।
তিনি রাস্তার উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বলেন, "রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবি এবং সেহরির সময় বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।"
সবাই সতর্ক থেকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করলে দেশবাসী রমজান ও ঈদ নিরাপদে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক |
আপডেট:
শুক্রবার, মার্চ ১৭, ২০২৩ 
