দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। যার প্রায় পুরোটাই আসে বিদেশ থেকে। এ জন্য ব্যয় করতে হয় কয়েক বিলিয়ন ডলার। তাই, কম খরচে ভারত থেকে সরাসরি ডিজেল আনতে উদ্যেগ নিয়েছে সরকার।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির লুমানীগড় থেকে ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন দিয়ে আগামী ১৮ মার্চ দিনাজপুরের পার্বতীপুরে তেল আসতে শুরু করবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারত থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর সীমান্ত দিয়ে প্রথম তিন বছরে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আসবে ৬ লাখ টন। চতুর্থ বছর থেকে ৫ লাখ টন এবং বাকি ১০ বছরে ১০ লাখ টন করে আসবে।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, পূর্ণ সক্ষমতায় আসলে এই পাইপলাইন দিয়ে তেল সরবরাহ করে বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ৮০ কোটি টাকা।
আগে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায়, আগে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী ডিপো থেকে ট্রাকে করে তেল সরবরাহ করা হতো। এতে, পরিবহনসহ নানা কারণে ডিজেল সংকটে সেচকাজ ব্যাহত হতো। এই পাইপ লাইন দিয়ে তেল আসলে, এসব জেলায় কৃষির সেচে ডিজেল ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ভারত থেকে আসা তেলে সালফারের মান ১০ পিপিএমের নিচে থাকবে। আন্তর্জাতিক সূচক অনুযায়ী এটি অত্যন্ত ভালো মানের তেল।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পাইপ লাইনের রিসিপ্ট টার্মিনাল কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ অটোমেটিক মেশিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। এখানে হিউম্যানের হাতের কোনও কার্যক্রম থাকবে না। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহ চালু হলে উত্তরাঞ্চলের চাহিদা মোতাবেক ডিজেল ভারত থেকে সহজ, সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্নভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে আমদানি করা যাবে। এতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় হবে।
বাংলাদেশ ভারতের দীর্ঘ ১৩০ কিলোমিটার এই পাইপলাইন নির্মাণ হওয়ায় আগে থেকে বেশী পরিমাণে তেল আমদানী করা যাবে ফলে বাচঁবে সময়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে সাশ্রয় হবে তেলের খরচ। জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা লাগামে আসলে এটি দেশের অন্যান্য পণ্যের দাম কমাতেও গুরুত্বপূণ্ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করছেন তারা।