ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ডুবে যাবে এশিয়ার মেগা সিটি

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, মার্চ ৯, ২০২৩

ডুবে যাবে এশিয়ার মেগা সিটি

ফাইল ছবি

এশীয় মেগাসিটিগুলো সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে এগোচ্ছে। ভবিষ্যতে তা পূর্বের সব অনুমানকে ছাড়িয়ে গেছে। ২১০০ সালের মধ্যে পানির নিচে তলিয়ে যাবে এশিয়ার বেশ কয়েকটি বৃহত্তম শহর। সম্প্রতি এমনই এক হুমকির কথা উঠে এসেছে ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চ (সিএনআরএস), লা রোচেল ইউনিভার্সিটি ও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক রিসার্চের (এনসিএআর) গবেষণায়। সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালে।

গবেষণায় দেখা গেছে-থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক, ভিয়েতনামের হো চি মিন, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, ভারতের চেন্নাই, কলকাতাসহ কিছু পশ্চিম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ ও পশ্চিম ভারত মহাসাগর বিশেষ ঝুঁকিতে আছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূল বরাবর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে বলেও গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু এশীয় মেগাসিটিরই ৫০ মিলিয়নের বেশি মানুষ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ভিটেবাড়ি হারাবেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ভারতে, ব্যাংকক কমপক্ষে ১১ মিলিয়ন, হো চি মিন সিটি ৯ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এবং ইয়াঙ্গুনে এর পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৫.৬ মিলিয়ন। গবেষণার তথ্য অনুসারে, সমুদ্রের ওঠানামার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভীষণভাবে প্রকৃতিতে দেখা যাবে। সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বরফ গলে যাওয়া। অনেক উপকূলরেখায় অবস্থিত এশিয়ান মেগাসিটি ইতোমধ্যেই বন্যার ঝুঁকিতে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মেগাসিটি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির নতুন হটস্পট হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গবেষণায় ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় পরবর্তী শতাব্দীর মধ্যে উপকূলীয় বন্যার ঘটনা পূর্বের তুলনায় ১৮ গুণ বেশি ঘটবে। কিন্তু বর্তমানে দেখা গেছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের স্বাভাবিকভাবে ঘটতে থাকা ওঠানামার ফ্যাক্টরিং উপকূলীয় বন্যার ফ্রিকোয়েন্সি আগের তুলনায় ৯৬ গুণ বেশি হচ্ছে।

ফিলিপাইনের ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট অ্যান্ড সাসটেইনেবল সিটিসের জলবায়ু বিজ্ঞান উপদেষ্টা লর্ডেস টিবিগ বলেছেন, আমাদের উপকূলীয় মেগাসিটিতে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষকে রক্ষা করার জন্য বিশ্বের অনেক বেশি মনোযোগ দিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে কাজ করতে হবে।