নারীর অর্থনৈতিক সুরক্ষার দিক দিয়ে বিশ্বের ১৯০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৪তম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তালিকায় বাংলাদেশের চেয়ে পেছনে শুধু আফগানিস্তান। এদিকে অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর অবস্থানে থাকা পাকিস্তান ১৫৭ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের চেয়েও ওপরে। গত ৬ মার্চ বিশ্বব্যাংকের ‘ওমেন, বিজনেস অ্যান্ড দ্য ল-২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়।
প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, বাংলাদেশে নারীরা এখনও আইনি সুযোগের দিক থেকে পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। বিশ্বের ১৯০ দেশের নারীর কর্মক্ষেত্র এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে আইনি সুরক্ষার দিক তুলে ধরা হয়েছে।
কাজের জন্য বিচরণ-সুবিধা, কর্মপরিবেশ, বেতন-মজুরি, বিবাহ, অভিভাবকত্ব, উদ্যোক্তা, সম্পদ এবং সরকারি ভাতা- এমন আটটি সূচককে ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে কর্ম খোঁজার সূচকে বাংলাদেশের নারী ও পুরুষের আইনি সমতা আছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে বেতন-মজুরির ক্ষেত্রে নারীরা যে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, তাও এসেছে প্রতিবেদনে।
সূচকে নারী-পুরুষের আইনি সুরক্ষায় ৪৯ দশমিক ৪ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক ও দক্ষিণ এশিয়ায় গড় পয়েন্ট যথাক্রমে ৭৭ দশমিক ১ এবং ৬৪ দশমিক ৭। বাংলাদেশ দুটোতেই পিছিয়ে।
নারীর চলাচলের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের স্কোর ১০০, কর্মক্ষেত্রে ৫০, বেতনের ক্ষেত্রে ২৫, ব্যবসা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ৭৫, সম্পত্তির অধিকারে ৪০, বিয়ে করা ৬০, সন্তান নেওয়া ২০ এবং পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে স্কোর ২৫।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ৮০ দশমিক ৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষস্থানে প্রতিবেশী নেপাল। তালিকায় দেশটির অবস্থান ৯৪তম। এছাড়া ভুটান ১১৬ (স্কোর ৭৫), ভারতের অবস্থান ১২১ স্কোর (৭৪ দশমিক ৪), মালদ্বীপ ১২৫ (স্কোর ৭৩ দশমিক ৮), শ্রীলঙ্কা ১৫০ (স্কোর ৬৫ দশমিক ৬), পাকিস্তান ১৫৭ (স্কোর ৫৮ দশমিক ৮) এবং আফগানিস্তান ১৮৪ (স্কোর ৩১ দশমিক ৯)।