মহামারি বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে উঠেপড়ে লেগেছে চীন। ২০২৩ সালের জন্য দেশটি ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ ছাড়া বাড়ানো হয়েছে সামরিক বাজেটও। রবিবার (৫ মার্চ) চীনের আইনসভা এনপিসিতে বার্ষিক সমাবেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের বিদাযয়ি প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং চলতি বছরের জন্য অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। বেইজিংয়ের গ্রেট হলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন তিন হাজার প্রতিনিধি।
লি কেকিয়াং জানান, অর্থনৈতিক গতি পুনরুদ্ধারে কাজ করছে চীনের সরকার। শহরাঞ্চলে নতুন এক কোটি ২০ লাখ চাকরি যোগ হয়েছে। ফলে শহরে বেকারত্বের হার কমে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
চলতি বছরের একটি খসড়া বাজেটের প্রতিবেদনে সামরিক খাতে ব্যয় প্রায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়ে ২২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ধরা হয়েছে।
ক্রমেই বেড়ে চলা ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার মাঝে গত বছর চীন খরচ বাড়িয়েছিল ৭ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২২ সালে সরকারি লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থাকলেও দীর্ঘায়িত কভিড বিধি-নিষেধে প্রবৃদ্ধি হয় ৩ শতাংশ। ১৯৭৬ সালের পর এটিই ছিল দেশটির দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বার্ষিক প্রবৃদ্ধি। এর আগে ছিল ২০২০ সালে, যখন প্রাথমিক কভিডের প্রাদুর্ভাব বৈশ্বিক অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়।
গত বছরের শেষ দিকে কভিড বিধি নিয়ে চীনে নজিরবিহীন বিক্ষোভ দেখা দেয়। এরপর ডিসেম্বরে হঠাৎ করে দেশটি শূন্য কভিডনীতি থেকে সরে আসে। তাৎক্ষণিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হলেও গত জানুয়ারি থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি ফিরে এসেছে বেইজিংয়ের।
গত ১ মার্চ প্রকাশিত চীনের সরকারি তথ্য অনুসারে প্রায় ১১ বছরের মধ্যে দেশটির জন্য সেরা মাস ছিল ফেব্রুয়ারি। পরিষেবা ও নির্মাণ খাতে সফলতা দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল বলেও জানানো হয়।
সূত্র: আলজাজিরা