ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট হারুনের জামিন বাড়ল এক বছর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, মার্চ ৫, ২০২৩

ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট হারুনের জামিন বাড়ল এক বছর
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের দণ্ডিত ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের জামিনের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (৫ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ হারুন-অর-রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

গত বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে ডেসটিনির মামলার রায় হয়। রায়ে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

এর মধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। একই সঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করলে গত বছরের ৯ জুন তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। তবে ওইদিন তাকে জামিন দেননি আদালত। এরপর ২৯ জুন তার মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর গত বছরের ৩০ আগস্ট হারুন-অর-রশীদকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।

পরে জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। এরপর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

সম্প্রতি জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফের হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে রোববার এক বছরের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ধার্য করেন হাইকোর্ট।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুইটি মামলা করেন। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।

বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।