বিশ্ববাজারে গত ফেব্রুয়ারিতে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম। এর ফলে টানা ১১ মাস নিম্নমুখী রয়েছে এ বাজার। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানায়, ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য সূচক ছিল ১২৯.৮ পয়েন্ট, যা জানুয়ারির চেয়ে ০.৬ শতাংশ কম। এমনকি গত মার্চের সর্বোচ্চ দাম থেকে ১৮.৭ শতাংশ কম। বিশ্ববাজারে গত মাসে চাল, দুগ্ধপণ্য, ভোজ্য তেলসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমলেও বেড়েছে চিনি ও গমের দাম।
এফএও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে খরা নিয়ে উদ্বেগ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে সরবরাহের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গত মাসে গমের দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে চালের দাম কমেছে ১ শতাংশ। এশিয়ার রপ্তানিকারক দেশগুলোর বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড কমার পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে দেশগুলোর মুদ্রার দরপতন ঘটায় চালের দাম কিছুটা কমেছে।
এফএও জানায়, গত মাসে ভোজ্য তেলের দামও কমেছে ৩.২ শতাংশ। পাম তেল, সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, রেপসিডসহ প্রায় সব ভোজ্য তেলের দাম নিম্নমুখী। ফেব্রুয়ারিতে দুগ্ধপণ্যের দামও জানুয়ারির তুলনায় কমেছে ২.৭ শতাংশ। এর বিপরীতে গত মাসে চিনির দাম বেড়েছে ৬.৯ শতাংশ, যা ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাজার বিশ্লেষকরা জানান, বিশ্ববাজারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খাদ্যপণ্যের দাম কমার অন্যতম কারণ ইউক্রেনের সরবরাহ বৃদ্ধি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় জানান, ইউক্রেন আক্রান্ত হলেও বিশ্বের খাদ্যচাহিদা পূরণে তাঁর দেশ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্বের ৪৩ দেশে গেছে ইউক্রেনের দুই কোটি ২০ লাখ টনের বেশি খাদ্যপণ্য।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সাত মাস ধরে আমরা বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি করছি। এই সময়ে বিশ্বের ৪৩ দেশ সমুদ্রপথে আমাদের ২২ মিলিয়ন টনের বেশি খাদ্যপণ্য গ্রহণ করেছে। আমি মনে করি, বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তায় এবং খাদ্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষায় এটি ইউক্রেনবাসীর একটি বড় অবদান।’