দীর্ঘদিন পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ। চালুর শুরুতে এই সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি থাকলেও কয়েকটি দুর্ঘটনার পর তা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে আন্দোলন করছে ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি প্রয়োজনে শর্ত মেনে হলেও পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করতে অনুমতি দেওয়া হউক। আগামী ঈদের আগে প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট আইন করে দিয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে হবে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে তারা এই দাবি জানায়। এতে বিভিন্ন বাইকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পরদিন যান চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। প্রথম দিনেই পদ্মা সেতুতে ঘটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এতে দুজনের মৃত্যু হয়। এরপরই নিষেধাজ্ঞা আসে মোটরসাইকেল চলাচলে। ২৭ জুন সোমবার ভোর ৬টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা চালু হয়। বলা হয়েছিল পদ্মা সেতুতে স্পিডগান ও সিসিটিভি স্থাপনের পরই মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেবে সরকার। তবে এখন পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এদিকে, মানববন্ধনে চালকরা বাইকারদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া আইন শিথিল করার দাবি জানান। সড়কে মৃত্যুর মিছিলের জন্য বাইকাররা দায়ী নয়। মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। তারা মোটরসাইকেল চলাচলের নীতিমালাকে জনবিরোধী বলে মন্তব্য করেন। এ নীতিমালা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান তারা।