ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

দেশে ফেরার পর যে কারণে গ্রেফতার হতে পারেন সালাহউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শুক্রবার, মার্চ ৩, ২০২৩

দেশে ফেরার পর যে কারণে গ্রেফতার হতে পারেন সালাহউদ্দিন
অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে গত মঙ্গলবার বেকসুর খালাস দিয়েছেন শিলংয়ের আদালত। সেই রায়ের অনুলিপি আজ হাতে পাবেন। এরপরই শুরু হবে দেশে ফেরার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া।

সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, আজ (শুক্রবার) রায়ের কপি পেতে পারি। সেটা আগে পাই তারপর চিন্তা করব। এর আগে এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে রাজি নই।  

এদিকে অনেকেই আশঙ্কা করছেন দেশে ফেরার পর তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। তার বিরুদ্ধে পুরনো অন্তত ১৫ টি মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ভারতের আদালতের রায়ের কোনো পর্যবেক্ষণ রয়েছে কিনা সেটা দেখবে প্রশাসন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মামলা ও পরোয়ানা থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। 

২০১৫ সালের মার্চে যখন সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হন, ওই সময়ে বিএনপি পুরোদমে আন্দোলনে, তখন দলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছিলেন তিনি। ওই সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ সদস্য, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনেক নেতা যখন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে, তখন সালাহউদ্দিন আহমেদ দলের গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব পালন করেন।

দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কের ৪৯/বি নম্বর বাড়ির ২/বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে র‍্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর দুই মাস পর পাশের দেশ ভারতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাঁকে। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পর দিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে আবার সরকার পক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।