ইউক্রেনে রুশ হামলার বছর পূর্ণ হয়েছে। তীব্র শীতের মৌসুমে আক্রমণ শানিত করেছিল রুশ সেনারা। তবে মস্কোর এ আগ্রাসন মোকাবিলা করেই ইউক্রেন টিকে আছে এবং এ কাজে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি ‘খুব কঠিন’ একটি শীতকাল সফলভাবে পারও করেছে।
বুধবার নিজের দৈনিক ভাষণে ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির।
আর তাই ‘কঠিন’ এই শীত থেকে বেঁচে থাকার জন্য ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের প্রশংসা করেছেন। যদিও এই শীতকাল নিয়েই ইউক্রেন নিয়ে আশঙ্কা জেগেছিল সবার মনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার ‘খুব কঠিন’ শীত থেকে বেঁচে থাকার জন্য তার দেশের প্রশংসা করেছেন। কারণ গত শীতে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো ও স্থাপনাগুলো রাশিয়ার নিয়মিত হামলার মুখেই ছিল এবং এতে করে লাখ লাখ মানুষ অন্ধকার এবং ঠাণ্ডায় নিমজ্জিত হয়েছিলেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা এই শীতকালকে কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। এটি খুব কঠিন সময় ছিল এবং প্রতিটি ইউক্রেনীয় এই অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। কিন্তু (বারবার রুশ হামলার পরও) আমরা ইউক্রেনকে জ্বালানি এবং তাপ প্রদান করতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের জ্বালানি ব্যবস্থাপনার ওপর এখনো (রুশ হামলার) হুমকি রয়েছে।’
এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দোনেৎস্কের বাখমুত শহর থেকে পিছু হটার ইঙ্গিত দিয়েছে ইউক্রেন। কয়েক মাস ধরে বাখমুতে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে তীব্র লড়াই হচ্ছে। তবে গত দুই সপ্তাহে রুশ বাহিনীর হামলার তীব্রতা এতটাই বেড়েছে যে, সেখান থেকে এখন কৌশলগত কারণে পিছু হটার পরিকল্পনা করছেন ইউক্রেনের সেনারা।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা আলেক্সান্ডার রোদনেয়ানস্কি বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি প্রয়োজন হয় তা হলে ইউক্রেনীয় সেনারা সেখান থেকে সরে যাবেন।
বাখমুত শহরটি দোনেৎস্কে অবস্থিত। গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চল অধিগ্রহণ করেন, এর মধ্যে দোনেৎস্ক একটি। বর্তমানে দোনেৎস্কের অর্ধেক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রুশ সেনাদের হাতে। পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে হলে তাদের অবশ্যই বাখমুত দখল করতে হবে। এর পর দোনেৎস্কের অন্য শহরগুলোর দখলও নিতে পারবে তারা।