Can't found in the image content. তাইওয়ানের আকাশে চীনের ১৯ সামরিক বিমান | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

তাইওয়ানের আকাশে চীনের ১৯ সামরিক বিমান

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, মার্চ ১, ২০২৩

তাইওয়ানের আকাশে চীনের ১৯ সামরিক বিমান
চীনা বিমানবাহিনীর অন্তত ১৯টি যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এমন অভিযোগ করেছে।

তাইপে অভিযোগ করে বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের আকাশসীমায় চীনা বিমানবাহিনীর অন্তত ১৯টি বিমান শনাক্ত করা হয়েছে। চীনের এই কর্মকাণ্ডকে নিয়মিত হয়রানির অংশ বলে উল্লেখ করেছে চীনের প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, চীনের জে-১০ মডেলের ১৯টি ফাইটর জেট তাদের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনের (এডিআইজেড) অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। এডিআইজেড চীনা সীমান্তের খুব কাছাকাছি অবস্থিত।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাইওয়ান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং নিজেদের বিমানবাহিনী সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিমান পাঠিয়েছে। তবে বিমানটি তাইওয়ান প্রণালির স্পর্শকাতর এলাকা অতিক্রম করেনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত তাইওয়ানের সরকার বারবার চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি এ কথাও বলেছে যে, দ্বীপটিতে হামলা হলে তা প্রতিহত করবে সরকার। তাইওয়ানের জনগণই তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।

প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড মনে করে চীন। বিপরীতে তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে। তাইপে তিন বছরের বেশি সময় আগে থেকে অভিযোগ করে আসছে যে, চীনের পক্ষ থেকে দ্বীপরাষ্ট্রটির ব্যাপারে চাপ বাড়িয়েছে বেইজিং।

অপরদিকে বেইজিং বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে চীনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাইওয়ান। তাই নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমন অভিযান পরিচালনার অধিকার চীনের রয়েছে।  

এর আগে চীনের সামরিক বাহিনীকে তাইওয়ান প্রণালিতে উচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখার খবর পাওয়া যায়। ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বেইজিং।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম আরটি জানায়, সম্প্রতি তাইওয়ান প্রণালির ওপর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধবিমান উড়ে যাওয়া কেন্দ্র ওই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি বলে উল্লেখ করেছে চীন। তার পরই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিং।