বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় আরও নিচে নেমে গেলেন ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানি। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় এখন ৩৮ নম্বর অবস্থানে তিনি। ফোর্বসের রিয়েল-টাইম ট্র্যাকার অনুসারে, আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
গত ২৪ জানুয়ারি ছোট এক মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হওয়ার পর আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারদর কমছেই। তার জেরে কমছে গৌতম আদানির ব্যক্তিগত সম্পদমূল্য।
হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপ স্টক ও হিসাবের বিষয়ে জালিয়াতি করেছে। তাদের ভাষ্য, আদানি গ্রুপ ভুল তথ্য দিয়ে বাজারকে প্রভাবিত করেছে। এর মাধ্যমে তারা বাজারে নিজেদের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। এই প্রতিবেদনে প্রকাশিত হওয়ার পর রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় আদানির সাজানো সাম্রাজ্যে।
আদানি তার সাম্রাজ্য টিকে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও তীব্র আশাবাদী। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, খুচরা বাজারে শেয়ার বিক্রি বাতিল করার সিদ্ধান্ত তার গ্রুপের বিদ্যমান কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। তিনি বলেন, ‘কোনো রেটিং এজেন্সি এখনও আমাদের ঋণ পুনর্মূল্যায়ন করেনি। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগের ফলে এখনও বিশ্বব্যাপী স্টকমার্কেট সূচকগুলো থেকে আদানিকে বাদ দেয়নি।’
উল্লেখ্য, ১৯৮০-এর দশকে ব্যবসা শুরু করা গৌতম আদানির মালিকানায় আছে সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি। সেই সঙ্গে আছে কয়লা আমদানির অনুমোদন। আদানির নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতের চাহিদার এক-তৃতীয়াংশের বেশি কয়লা আমদানি করে।