নিত্য পন্যের দাম যে হাড়ে বাড়ছে তাতে এমনিতেই নিম্ন-মধ্যবর্তীর নাভিশ্বাস। সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে অধিকাংশই। রোযা আসন্ন। দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়ায় চিন্তার ভাঁজ কপালে। যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থার দাবি, রোযায় দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
কিন্তু বাড়তি চিন্তাও রয়েছে অনেকের। দ্রব্য মুল্যের দাম বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে বাড়ি ভাড়াও। জনশ্রুতি আছে, ঢাকা শহরের বাড়ি ভাড়া দিতেই মাসিক আয়ের সিংহভাগ চলে যায়। এর মধ্যে বাসা বদলের সময় আবার অগ্রিম ভাড়ার ঝামেলা তো আছেই। এবার অগ্রিম বাড়ি ভাড়া দিতে নিজের বাম কিডনি বিক্রির পোস্টার দেখা গেল ভারতেরে বেঙ্গালুরুতে।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরু শহরে চড়া বাড়িভাড়া এবং অগ্রিমের অর্থ মেটাতে গেলে যে নিজের কিডনি বিক্রি করার জোগাড় হয়, তা-ই বুঝিয়ে দিলেন এক বাসিন্দা। শহরে পোস্টার দিয়ে তাঁর দাবি, ভাড়াবাড়ির অগ্রিম দিতে নিজের বাঁ-কিডনি বিক্রি করতে চান। যদিও ব্যঙ্গচ্ছলেই এমন পোস্টার ছাপিয়েছেন বলে দাবি। তবে সমাজমাধ্যমে ওই পোস্টার নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে।
শনিবার ( ২৫ ফেব্রুয়ারী) ওই পোস্টারের ছবি টুইটারে পোস্ট করেছিলেন রামিয়াখ নামধারী টুইটার ব্যবহারকারী। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ১১ হাজার জনেরও বেশি তা পছন্দ করেছেন। রামিয়াখ লিখেছিলেন, ‘‘ভাড়াবাড়ির জন্য অগ্রিম চাইছেন বাড়িওয়ালা। সে জন্য টাকা চাই। বাঁ-কিডনি বিক্রি রয়েছে।’’সংক্ষিপ্ত টুইটের সঙ্গে ওই পোস্টারের ছবিও সাঁটিয়েছেন তিনি। কিছু ক্ষণেই অবশ্য ভুল ভেঙেছে।
এর পরেই রামিয়াখ লিখেছেন, ‘‘রসিকতা করছিলাম। আসলে বেঙ্গালুরুর ইন্দিরানগর এলাকায় একটা ভাড়াবাড়ি খুঁজছি।’’ সেই সঙ্গে ওই পোস্টারের সঙ্গে একটি ‘কিউআর কোড’-এর দিকে নজর দিতে বলেছেন তিনি। তাতেই তাঁর সম্পর্কে যাবতীয় খুঁটিনাটি জানা যাবে বলে লিখেছেন রামিয়াখ।
অনেকেরই দাবি, এই পোস্টারটি ব্যঙ্গচ্ছলে করা হলেও তাতে বাস্তব চিত্রই ধরা পড়েছে। বেঙ্গালুরু শহরে ভাড়াবাড়িতে বাস করতে গেলে পকেট ফাঁকা হয়ে যায় বলে দাবি তাঁদের। তা নিয়ে নানান সরস মন্তব্যও ভেসে উঠেছে সমাজমাধ্যমে। রামিয়াখের এই পোস্টার বিপণন জগতে ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন এক টুইটার ব্যবহারকারী।
অনেকেই বেঙ্গালুরু শহরে ভাড়াবা়ড়ি খোঁজার অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন। তেমনই এক জনের মন্তব্য, ‘‘ভাড়াবাড়ি খুঁজতে গিয়ে এক বাড়িওয়ালার অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। ওই বাড়িওয়ালাকে বলেছিলাম, ‘আপনাকে বিত্তশালী করার কোনও ইচ্ছা নেই। তার বদলে বরং একটি হন্ডা সিটি গাড়ি কিনব। কিস্তির টাকা দিলেও যাতায়াতে সুবিধা হবে।’