ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

রাশিয়াকে অস্ত্র দিলে চীনকে মূল্য দিতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৩

রাশিয়াকে অস্ত্র দিলে চীনকে মূল্য দিতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিলে চীনকে মারাত্মক পরিণতি ভোগের বিষয়ে সতর্ক করেছেন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে চীনকে ফের হুঁশিয়ার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বলেছে, এই যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করলে চীনকে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে।

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালেভান সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ প্রোগ্রামে বলেন, “বেইজিং সামরিক সহায়তা করবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত তাদেরকেই নিতে হবে। কিন্তু তারা সে পথে হাঁটলে বাস্তবিক মূল্য দিতে হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত ১৯ ফেব্রুয়ারিতে সিবিএস নিউজকে বলেছিলেন, চীনা কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে রাশিয়াকে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র সরবরাহ করছে। আর নতুন তথ্যে জানা গেছে, বেইজিং প্রাণঘাতী অস্ত্র মস্কোকে সরবরাহ করতে পারে।

রাশিয়াকে অস্ত্র–গোলাবারুদ সরবরাহ করলে তা চীনের জন্য ‘মারাত্মক পরিণতি’ বয়ে আনবে বলে তখনই সতর্ক করেছিলেন ব্লিনকেন। এবার জেইক সালেভান ফের চীনকে হুঁশিয়ার করলেন।

ওয়াশিংটন ও এর নেটো মিত্রদেশগুলো ইউক্রেইন যুদ্ধে মস্কোকে চীনের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা সরবরাহ ঠেকানোর চেষ্টা করছে। তবে চীন এখনও এধরনের সাহায্য দেওয়ার পথে আগায়নি, আবার সরবরাহ করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি বলে এ সপ্তাহে এবিসি নিউজের ‘দিস উইক’ প্রোগ্রামে বলেছেন সালেভান।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র। চীন এখনও রাশিয়ার ইউক্রেইন আগ্রাসনের নিন্দা জানায়নি। অতিসম্প্রতি গত শনিবার ভারতে জি-২০ সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দারও বিরোধিতা করেছে চীন।

ইউক্রেইন সংঘাতে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার কথা বলে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আসছে চীন। ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বর্ষপূর্তিতে গত শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে যুদ্ধবিরতি ও উত্তেজনা ক্রমশ হ্রাস করার কথা বিস্তৃতভাবে বলা হয়েছে।

তবে চীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত জর্জ টলেডো বলেন, চীনের নথিটি মোটেও শান্তি প্রস্তাবের নয়। সেখানে আগ্রাসনকারীর নাম বলা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইইউ।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশটির একটি পত্রিকায় বলেছেন, “আমি যখন খবর শুনি-জানিনা সেটি সত্য কিনা-যে চীন রাশিয়াকে কামিকাজে ড্রোন সরবরাহ করতে পারে। আবার একই সময়ে চীন শান্তি পরিকল্পনাও পেশ করছে। ফলে আমি মনে করি আমাদের চীনকে যাচাই করতে হবে তার কাজ দিয়ে, কথা দিয়ে নয়।”

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক উইলিয়াম বার্নসও রোববার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েছে যে, চীনের নেতারা রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করার কথা ভাবছেন।