ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করায় জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বিক্ষোভে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, অন্তত ১০ হাজার মানুষ এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে জার্মান সরকার।
জানা যায়, জার্মানির বামপন্থী ডাই লিংক পার্টির সদস্য সাহরা ওয়াগেনকনেখ্ট এ বিক্ষোভের ডাক দেন। বিক্ষোভ আয়োজনকারীরা তাদের ওয়েবসাইটে লেখে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রতিদিন দুই দেশের অন্তত ১ হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। তাছাড়া এটি ক্রমেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা জার্মান চ্যান্সেলরকে আমরা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।
জার্মান পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, মধ্য বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটের চারপাশে অন্তত ১০ হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ১ হাজার ৪০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিন বিক্ষোভকারীরা অসংখ্য ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভে নামেন। একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আপনারা আলোচনা করুন কিন্তু যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করবেন না। এটা আমাদের যুদ্ধ নয়।’
পুলিশের এ মুখপাত্র আরও জানান, বিক্ষোভে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা সবাই বামপন্থী। জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার দাবি, বিক্ষোভটি শান্তিপূর্ণ হলেও, এ ধরনের বিক্ষোভ সমর্থন করা উচিত নয়। কারণ এ মুহূর্তে কেউ যদি ইউক্রেনের পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে সেটা মোটেই মানবিক হবে না।
গত মাসে ইউক্রেনকে লেপার্ড ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অন্তত ১৪টি ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানায় বিবিসি। অন্যদিকে, নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ৩০ থেকে ৫০টি আব্রাম ট্যাংক পাঠাতে পারে। যদিও ঠিক কবে নাগাদ এসব ট্যাংক পাঠানো হবে, সে বিষয়ে এখনো পরিষ্কার কোনো তথ্য দেয়নি জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক বছর র্পূণ হয়েছে। এ যুদ্ধে ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি।
সূত্র: রয়টার্স