বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়। তাই নারী নির্যাতন আইনের মতো পুরুষ নির্যাতন আইন তৈরির দাবি জানিয়েছে ‘জাতীয় পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন’।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘জাতীয় পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রায় সময়ই পুরুষ নির্যাতনের খবর আসে। বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ মানসিক নির্যাতনের শিকার। সামাজিক ও চক্ষুলজ্জার ভয়ে অনেক পুরুষ নির্যাতনের কথা প্রকাশ করতে চায় না। অনেকে আত্মসম্মানের ভয়ে প্রকাশ করেন না। বিবাহিত অনেক পুরুষ নির্যাতনের শিকার হওয়ার বিষয়ে একমত।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিছু বেসরকারি সংস্থা আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালন করছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ মেনস রাইটস ফাউন্ডেশন পুরুষ দিবস পালন করছে। বাংলাদেশে একের পর এক পুরুষ নির্যাতন বেড়েই চলেছে। পুরুষ মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছে। কারণ, তারা কোনও আইনি সহায়তা পাচ্ছে না। তাদের জন্য কোনও আইন নেই।
তারা জানান, কিছু নারী অর্থের লোভে মোটা অঙ্কের দেনমোহরে একের পর এক বিয়ে করছেন এবং মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে আদালতে মামলা দিয়ে দেনমোহরের টাকা ও খোরপোষের বাণিজ্য করছেন। এমন বহু পুরুষ আছে যারা নিরপরাধ হয়েও অপরাধী।
বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, নারী পুরুষ সমান অধিকার থাকলেও পুরুষের জন্য কোনও আইন নেই। দেশে প্রচলিত আইনে নারী ও শিশু নির্যাতনের পাশাপাশি পুরুষ নির্যাতন আইন হওয়া একান্ত জরুরি। অবিলম্বে পুরুষ নির্যাতন আইন তৈরির দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট কাজী ইলিয়াসুর রহমান, অ্যাডভোকেট সঞ্চিতা রানী পাল, মো. ইয়াছিন, হৃদয় ইসলাম চুন্নু, মো. খলিলুর রহমান, নুসরাত জাহান মীম, মহাসচিব মো. খলিলুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ।