২০২২ সালে প্রায় ১০ লাখ মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) আশ্রয় চেয়েছে। এ সংখ্যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ এবং ২০২১ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। গতকাল বুধবার ইইউ এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
কোভিডজনিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকেই ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। ২০১৫-১৬ সালের শরণার্থী সংকটের পর এমন পরিস্থিতি এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
ইইউএএ জানিয়েছে, গত বছর ইইউর ২৭ দেশের পাশাপাশি নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডে মোট ৯ লাখ ৬৬ হাজার আশ্রয়ের আবেদন করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে ১২ লাখ ৫১ হাজার ৮১৫টি আবেদন জমা পড়েছিল। এসব আশ্রয়প্রার্থীর মধ্যে ৪০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় শরণার্থী অন্তর্ভুক্ত নয়। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ অস্থায়ীভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ স্থায়ীভাবে আশ্রয়ের আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে ইইউর পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট।
ইইউতে আশ্রয়প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল সিরীয় ও আফগান। এ দুই দেশের আশ্রয়প্রার্থীই মোট সংখ্যার এক-চতুর্থাংশ। এরপরে তুরস্ক, ভেনিজুয়েলা, কলম্বিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার অভিবাসীরা সবচেয়ে বেশি আশ্রয়ের আবেদন করেছে। খবর এএফপির।