ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতালির কাছে পুরনো যুদ্ধবিমান চেয়ে যে অনুরোধ জানিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
মঙ্গলবার ইউক্রেন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান তিনি। খবর ডয়চে ভেলের।
মেলোনি বলেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেনের কাছে বিমান সরবরাহ করার বিষয়টি তাদের বিবেচনায় নেই। ভবিষ্যতে যদি ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিতে হয় তাহলে তা আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতেই দেয়া হবে।
গত মাসে আমেরিকা ও জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে উন্নত প্রযুক্তির ট্যাংক সরবরাহের প্রতিশ্রুতি পান জেলেনস্কি। এরপর তিনি পশ্চিমা মিত্রদের কাছে যুদ্ধবিমান দেওয়ার দাবি জানাতে শুরু করেন।
ইতালির বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে রোম। কিন্তু জর্জিয়া মেলোনির কিয়েভ সফরে এমন কিছুই হয়নি।
সর্বশেষ সোমবার আকস্মিক সফরে কিয়েভ যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সফরে যতদিন প্রয়োজন দেশটির পাশে থাকার ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় অতিরিক্ত অর্ধ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ অর্থ আর্টিলারি গোলাবারুদ, রাডার, অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের জন্য ব্যয় হবে।
মঙ্গলবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ছাড়াও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই কিয়েভ সফর করেছেন।
দেখতে দেখতে এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযান শুরুর পর থেকে দেশটিকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো।