৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের ক্ষত কাটিয়ে না উঠতেই তুরস্কে আবারও আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় গত সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ৪ মিনিটে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় প্রদেশে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। এরপর আরও ৩২টি পরাঘাতে কেঁপে উঠে তুরস্কের ওই অঞ্চল।
দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, গত রাতের ভূমিকম্পের পর ৩২টি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে একটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮। শুধু তুরস্ক নয়, পাশের দেশ সিরিয়া, লেবানন ও মিসরেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
নতুন করে আঘাত হানা ভূমিকম্পে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৮০ জন। এদিকে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলেইমান সোইগু বলেছেন, নতুন ভূমিকম্পে নিহত তিনজন হাতায় প্রদেশের আনতাকিয়া, দেফনে ও সামানদাগি শহরের বাসিন্দা।
তবে বেসামরিক সূত্রের খবর, এবারের ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় আহত মানুষের সংখ্যা ৬৮০। গৃহযুদ্ধের সময় থেকে সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর সিরিয়ায় আহত ৪৭০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দুই দেশে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজারের বেশি মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই ৪১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১০ লাখের বেশি মানুষ গৃহহারা হন। আর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়।
ওই ভূমিকম্পের পর থেকে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ছয় হাজারের বেশি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে এএফএডি।