ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর হতে আর বাকি তিনদিন। তবে ইউক্রেনে তথাকথিত অভিযান পরিচালনার জন্য রাশিয়ার কোনো সমালোচনা করেনি চীন। বরং এখন শোনা যাচ্ছে দেশটিকে সহায়তা করতে যাচ্ছে বেইজিং।
ইতোমধ্যে জার্মানির মিউনিখে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে চীনের ওপর রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তার অভিযোগ এনে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়াকে সহায়তা করলে চীন-মার্কিন সম্পর্কে বৈরী প্রভাব পড়বে। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকেই উল্টো তিরস্কার করেছে বেইজিং। ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
এদিকে ইউক্রেন সফর করে এসেছেন জো বাইডেন। অন্যদিকে মস্কো সফরে যাচ্ছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রাশিয়ার পক্ষে চীনের এই অবস্থান কতদূর এগোতে পারে বিশ্লেষণ করেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।
ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়াকে মৌখিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে সহায়তা করে আসছে চীন। এখনো অস্ত্র দিয়ে সহায়তার নজির বা প্রমাণ মেলেনি।
তবে সম্প্রতি মিউনিখ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন দাবি করেন, রাশিয়াকে সহায়তার পরিকল্পনা করছে চীন। যে কোনো সময় সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে তারা।
চীন চাইলে যে কোনো সময় রাশিয়াকে সহায়তা করতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে রাশিয়ার সঙ্গে মিলে সামরিক মহড়া চালিয়েছে দেশ দুটি।
রাশিয়ায় যে কোনো সময় অস্ত্র সহায়তা করতে পারে চীন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনে অবিরত সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ও রাশিয়াকে সহায়তার দোষ চাপাচ্ছে।
তিনি বলেন, শান্তি আলোচনার মাধ্যমেই ইউক্রেন ইস্যুর সমাধান করা যায়। অথচ তারা দেশটিতে অস্ত্র পাঠাচ্ছে।
বেইজিং জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে সাধারণ বাণিজ্য করে যাচ্ছে রাশিয়া। তেল ও গ্যাসসহ অন্যান্য জিনিস আমদানি করছে চীন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন যদি রাশিয়াকে সহায়তা করে তবে এর প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। অর্থাৎ প্রথমত, চীনের ওপর নানা প্রকার নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয়ত, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ আরও বাড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
স্পষ্ট করে ব্লিঙ্কেন কিছুই জানাননি। তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বিরুদ্ধে অন্যান্য দেশগুলোও যোগ দিতে পারে।