ইউক্রেনে রুশ যুদ্ধে জড়িত ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো আমরা ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ ইরানি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করছি বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট।
বুধবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন। খবর ইয়েনি শাফাকের।
তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞায় মোট মূল্য ১১ বিলিয়ন ইউরো (১১.৭৯ বিলিয়ন ডলার) নতুন বাণিজ্য এবং ড্রোন, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রযুক্তি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণকে যুক্ত করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাটো প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ব্রাসেলসে জড়ো হয়ে প্রতিরক্ষা ব্যয় এবং অস্ত্র উৎপাদন জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন, সেখানে এ প্রস্তাব করা হয়। তারা ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য যে সহায়তা দিচ্ছেন তা চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট আরসুলা ভনডার লেইন বলেন, নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজে রাশিয়ায় কিছু শিল্প ও প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপগুলো রুশ বাহিনীকে তাদের অস্ত্র ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য যেসব উপাদান প্রয়োজন সেগুলোর পাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করবে।
প্রস্তাবটিতে শাহেদ ড্রোন সরবরাহের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড কোরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রুশ বাহিনী ইউক্রেনের অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ করার জন্য এই ড্রোন ব্যবহার করেছে।
ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের দুদিনের আলোচনার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বলেন, মিত্ররা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়গুলো অনুসন্ধান করে দেখবে।
স্টলটেনবার্গ রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউক্রেনকে আরও গোলাবারুদ সরবরাহ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর এবং মিত্রদের প্রতিশ্রুত ট্যাংক ও অন্যান্য ভারি সরঞ্জাম সরবরাহ সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন।