র্যাগিংয়ের নামে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন আদেশ দেন। রিটটি সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় ১২ নম্বর ক্রমিকে ছিল।
এর আগে বুধবার দুপুরে জনস্বার্থে রিটটি করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী গাজী মো. মোহসীন।
ইবি শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসানের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক রেবা মণ্ডলকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মুর্শিদ খান, একাডেমি শাখার উপরেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আলীবদ্দীন খান। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত নবীন এক ছাত্রীকে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ফুলপরি খাতুন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী এবং অভিযুক্ত অন্তরা পাল্টাপাল্টি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে বিচার দাবি করেন।