ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলার বাংলা মঞ্চে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ভাষা শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ বাকি বিল্লাহর সঞ্চালনায় এবং অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া। এসময় নির্ধারিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাখাওয়াৎ আনসারী। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার জনাব এইচ.এম আলী হাসান।
এসময় প্রধান বক্তা অধ্যাপক ড. শাখাওয়াৎ আনসারী বাংলা ভাষার ইতিহাস, তার ব্যবহার এবং বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি রাশিয়াকে উদাহরণ করে বলেন, রাশিয়ায় যেকোনো বিষয়ে পড়তে গেলে প্রথমে সে দেশের ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস এবং সে দেশের ফিলোসোফি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে যে ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে সেদেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ নেই। দেশের প্রধান পাঁচটি ক্ষেত্র যেমন প্রশাসন, শিক্ষা, আইন-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ব্যক্তিগত ক্ষেত্র সব জায়গায় বাংলা ভাষার ব্যবহার করা হয় না আর। অর্থাৎ আমরা যে বাংলা ভাষাকে ভালোবাসার জন্য শিক্ষা গ্রহণ করি এই শিক্ষা গ্রহণ করে আমরা বাংলাকে অবহেলা করি
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম ভাষা শহীদদের স্মরণ করে বলেন, ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের জন্য আজ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। ভাষা শহীদদের স্মরণে এইরকম আলোচনা একজন শিক্ষার্থীর শুদ্ধাচারই অংশ। এসময় তিনি সবাইকে বই পড়ার আহ্বান জানান।
আলোচনাসভার সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ সমাপনী বক্তব্যে বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী বইমেলার আয়োজন করেছে প্রশাসন। এই মেলা শুরুর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক - শিক্ষার্থীদের নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার বিকাশ ঘটছে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে লেখালেখির প্রতি আগ্রহ এবং প্রণোদনা জোগাবে।
আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।