যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল। এতদিন জোটটির সদস্য হয়নি নরডিক রাষ্ট্র সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হলে জোটটির সদস্য হতে ওঠেপড়ে লাগে স্টকহোম ও হেলসিংকি।
তবে দুই দেশের এ উদ্যোগে ‘বাদ সাধে’ তুরস্ক। আঙ্কারার অভিযোগ— সুইডেন ও ফিনল্যান্ড তুরস্কে নিষিদ্ধঘোষিত পিকেকে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। অথচ পিকেকে ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোকে সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি মনে করে তুরস্ক। এ কারণে দুই দেশের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে ভেটো দেয় ন্যাটোর দ্বিতীয় বৃহত্তম সদস্য তুরস্ক। অবশ্য সর্বশেষ ফিনল্যান্ডকে সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে আঙ্কারা।
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের যোগদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে মঙ্গলবার ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি আশা করছেন যে, উভয় দেশ জোটের পূর্ণ সদস্য হবে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, উভয় দেশকে জোটভুক্ত করতে কঠোর পরিশ্রম করছি।
ব্রাসেলসে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান জোটটির মহাসচিব।
স্টলটেনবার্গের মতে, ন্যাটোর ইতিহাসে দুটি দেশেকেই দ্রুত যোগদান করানোর প্রক্রিয়া রয়েছে। সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সামরিক ও বেসামরিক কাঠামোর সঙ্গে আরও বেশি একীভূত হচ্ছে এবং ন্যাটোর বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে।
ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, সম্মেলনে ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভের সঙ্গে দুই দিনব্যাপী আলোচনা করবেন। আলোচনায় সামরিক সরঞ্জামের উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা এবং প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করতে ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে নিজেদের মজুত যাতে অক্ষুণ্ন থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখবে সদস্য দেশগুলো।