আগামী বছর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে। অলিম্পিকে রাশিয়ান খেলোয়াড়দের অংশ নেওয়ার অনুমতি মিলতে— আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রধানের এমন ঘোষণায় ইউক্রেনীয় সরকার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাশিয়াকে অলিম্পিক থেকে বাদ দিতে জোর দাবি উঠে। খবর টেলিগ্রাফের।
তবে সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন আইওসি প্রধান। তিনি ইউক্রেনীয় খেলোয়াড়দের ‘দুঃখ এবং মানবিক যন্ত্রণা’ বিষয়টি ভাগ করে নেওয়ার সময় বলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কারা অংশ নেবে তা কোনো দেশের সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তার এ বক্তব্যের পর অলিম্পিক গেমসে রাশিয়ান অ্যাথলেটদের সম্ভাব্য অংশগ্রহণ নিয়ে বিরোধ আরও তীব্র হয়েছে।
২০২৪ সালের অলিম্পিক গেমসে রাশিয়া এবং বেলারুশের খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার প্যারিসে তাদের সম্ভাব্য উপস্থিতিকে ‘সহিংসতার প্রকাশ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।
এর প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্সে ওয়ার্ল্ড স্কি চ্যাম্পিয়নশিপে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আইওসি প্রধান টমাস বাচ বলেন, প্রায় এক বছর আগে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালায় রাশিয়া। এ সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের জনগণের মানবিক যন্ত্রণার ভাগিদার আমরা। তাদের সাহায্য করার জন্য আমরা যে সব প্রচেষ্টা নিয়েছি তা দেশটির খেলোয়াড়েরা জানেন।
তিনি যোগ করেন, ‘ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কে অংশ নেবে বা নেবে না- তা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না। কারণ আমরা জানি এটি একটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও অলিম্পিক গেমস।
রাশিয়ান এবং বেলারুশিয়ান প্রতিযোগীদের নিরপেক্ষ পতাকার নিচে প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিতে পারে বা পথ বের করার চেষ্টা করছে- আইওসির এমন ঘোষণায় ইউক্রেনীয় সরকার গত মাসে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
কিয়েভ জানিয়েছে, রাশিয়ার আক্রমণে অন্তত ২২৮ জন ইউক্রেনীয় ক্রীড়াবিদ এবং কোচ নিহত হয়েছেন। মস্কো তার ক্রীড়াবিদদের অংশ নিতে রাজনৈতিক সুবিধা চাইবে। তাদের অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে ইউক্রেন তার দেশে খেলোয়াড়াদের খেলায় না পাঠানোর হুমকি দিয়েছে।
শুক্রবার ক্রীড়ামন্ত্রীদের ভার্চুয়াল সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘কিছু নিরপেক্ষতা সাদা পতাকা দিয়ে ঢেকে রাখা যাবে না। রাশিয়া এমন একটি দেশ, যার সবকিছু রক্তে মাখানো, এমনকি সাদা পতাকাও।