ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

হাজী সেলিমের ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২৩

হাজী সেলিমের ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত ইরফানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন। আগামী ৬ মার্চ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইরফান সেলিমের আইনজীবী প্রাণনাথ রায়।

প্রাণনাথ রায় জানান, নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ইরফান সেলিম ইতোদিন জামিনে ছিলেন। আজ অভিযোগ গঠনের সময় তিনি আদালতে হাজির ছিলেন না। তাঁর পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত তা নাকচ ও জামিন বাতিল করে ইরফানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

মামলার অপর চার আসামি হলেন, ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মিজানুর রহমান, মদিনা গ্রুপের কর্মকর্তা এ বি সিদ্দিক দীপু ও কাজী রিপন।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদকে মারধরের মামলা তদন্ত করে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইরফানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। 

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে ওয়াসিফ আহমেদ স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে পেছন থেকে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়ি। এ সময় ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিলেও গাড়ি থেকে নেমে গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। এরপর গাড়িটি কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড সিগন্যালে এসে থামলে ওয়াসিফ মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে গিয়ে গাড়ির জানালায় নক করেন। তখন গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে ওয়াসিফকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। তাঁর একটি দাঁত পড়ে যায়। গাড়িতে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ও তাঁর লোকজন ছিলেন। ঘটনার পরদিন সকালে তাঁদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ। সেদিন পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র‍্যাব। অভিযানে অস্ত্র, ইয়াবা, ৩৮টি ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

অভিযানকালে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফানকে এক বছর কারাদণ্ড ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। আর দেহরক্ষী জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় একই বছরের ২৭ অক্টোবর রাতে ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি করে আলাদা মামলা করা হয়। ইরফানের দুই মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। আদালত তা গ্রহণ করায় মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পান।