ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

বেশি দামে ভারত থেকে ২ লাখ টন চাল কেনা স্থগিত

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২৩

বেশি দামে ভারত থেকে ২ লাখ টন চাল কেনা স্থগিত
দাম বেশি হওয়ার কারণে ভারতীয় দুই রাষ্ট্রীয় সংস্থা থেকে ২ লাখ টন সেদ্ধ চাল কেনা স্থগিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। জি-টু-জি (দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে) চুক্তির আওতায় এই ২ লাখ টন চাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ছিল এনসিসিএফ (ন্যাশনাল কোঅপরেটিভ কনজ্যুমারস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড) এবং কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার। 

সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এই ২ লাখ টন চাল কেনার প্রক্রিয়া স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতে চালের দাম কমে যাওয়া, দেশে আমনের সংগ্রহ বেড়ে যাওয়া, সরকারের মজুদ ভালো থাকা এবং ডলার সাশ্রয়ের কথা বিবেচনা করে সংস্থা দুটি থেকে চালের আমদানি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভারতীয় সংস্থা দুটির প্রত্যেকের এক লাখ টন করে চাল সরবরাহের কথা ছিল। খাদ্য অধিদপ্তর গত ২১ ডিসেম্বর ভারতের রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুটিকে চাল কেনার সম্মতিপত্র (এলওআই) দেয়। সংস্থা দুটি প্রতি টন সিদ্ধ চালের দাম চায় যথাক্রমে ৪৩৪ ও ৪৩৭ মার্কিন ডলার। এলওআই পাওয়ার পর সংস্থা দুটি চাল সরবরাহের প্রক্রিয়া শুরু করে। 

কিন্তু এরই মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তর আরও এক লাখ টন চাল কেনার আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করে, যেখানে সর্বনিম্ন দরদাতা সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রো-ক্রপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও ভারতের বাগাদিয়া যথাক্রমে ৩৯৩ ও ৩৯৭ ডলার করে দাম চায়। যা ভারতীয় সংস্থা দুটির চেয়ে অন্তত ৪০ ডলার কম। 

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে জানান, জানুয়ারি মাসে ভারতে চালের দাম অন্তত ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ফলে সংস্থা দুটিকে চালের দাম কমানোর অনুরোধ করা হয়, কিন্তু তারা মাত্র ২ ডলার করে দাম কমানোর কথা জানায়। যে কারণে এই আমদানি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকার স্থানীয় কৃষক ও মিলারদের কাছ থেকে ৩ লাখ ২২ হাজার ৮৩৬ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করেছে। এতে করে সরকারের চালের মজুদ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৩ হাজার টন। একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশ থেকে গম আমদানি হওয়ায় সরকারের কাছে এখন ৩ লাখ ৮৪ হাজার টনের গমেরও মজুদ রয়েছে, যা গত বছর একেবারে তলানিতে নেমে গিয়েছিল। 

খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এখন যে পরিমাণ চালের মজুদ রয়েছে তা দিয়ে অন্তত ৫ মাসের বেশি চাহিদা মেটানো সম্ভব। কারণ ওএমএসসহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে প্রতি মাসে আড়াই থেকে ৩ লাখ টন চাল দরকার হয়।

সূত্র: টিবিএস