পুরো ডাক ব্যবস্থাকে স্মার্ট ডাকঘর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের খরচ হবে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। এজন্য সময় লাগবে ৮ বছর। স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠা-সংক্রান্ত সরকারি এক সমীক্ষার খসড়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের জন্য এটুআই-এর ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব (ডিএসডিএল) এর সুপারিশ অনুসারে এই সমীক্ষা পরিচালিত হয়। ডাকঘরগুলোর জন্য অটোমেটেড মেইল প্রসেসিং নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে এই সমীক্ষাটি চালানো হয়। গত রোববার খসড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে ডাক বিভাগ। এখন ডাকসেবা প্রদান ও গ্রহণকারীসহ সংশ্নিষ্ট অংশীজনদের মতামত ও সুপারিশ পর্যালোচনা করে শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্মার্ট ডাক ব্যবস্থার জন্য স্মার্ট ডিজিটাইজেশন, স্মার্ট অবকাঠামো, স্মার্ট ব্যবসা এবং স্মার্ট সক্ষমতা এ চারটি অনুষঙ্গ অপরিহার্য। স্মার্ট ডাকঘর বাস্তবায়নে খসড়া প্রতিবেদনে তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে সমন্বিতভাবে চারটি অনুষঙ্গ বাস্তবায়ন, দ্বিতীয়টি হচ্ছে অগ্রাধিকারভিত্তিক বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন এবং তৃতীয়টি হচ্ছে স্মার্ট জিপিও মডেল। প্রথম সুপারিশ অনুসারে পুরো ডাক ব্যবস্থাকে এক সঙ্গে স্মার্ট ডাকঘর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
এ জন্য সময় ধরা হয়েছে ৮ বছর এবং সম্ভাব্য খরচ হিসাব করা হয়েছে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। দ্বিতীয় সুপারিশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয় মেইল প্রসেসিং সেন্টার, সমন্বিত ডিজিটাল প্রকল্প এবং অবকাঠামো গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে ৫ থেকে ৮ বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। তৃতীয় সুপারিশে স্মার্ট জিপিও মডেল, মডেল স্মার্ট অফিস ও স্মার্ট সক্ষমতা ও ব্যবসার কথা বলা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে সমীক্ষা প্রতিবেদনের খসড়ায় ৫ থেকে ৭ বছরে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে।