দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ পাওয়ার চেষ্টা করছে ইউক্রেন। বিশেষ করে, দেশটিতে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এই প্রচেষ্টায় গতি বেড়েছে অনেক গুণ। তবে শেষ পর্যন্ত ২৭ দেশের সংস্থাটির নতুন সদস্য হতে যাচ্ছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান উরসুলা ভন ডের লেন এবং সংস্থাটির কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে শুক্রবার সম্মেলন হয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইইউ কমিশনের চেয়ারম্যান। উরসুলা ভন বলেন, ইইউ-তে ইউক্রেনের অংশগ্রহণের বিষয়টি সম্মেলনে আলোচনা করা হয়েছে। এ জন্য কিয়েভকে যেসব বিষয় সংস্কারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে তারা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইউক্রেনের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু তোমরা আগ্রাসনকারীদের বিরুদ্ধে লড়ছো, সুতরাং আমরা তোমাদের ভুলব না। প্রতিটি পদক্ষেপে তোমাদের সঙ্গে থেকে সহযোগিতা দিয়ে যাব।’
অপরদিকে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেছেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যত এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জনগণ গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের জন্য তাদের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং আমরাও পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, তোমাদের (ইউক্রেন) ভবিষ্যত আমাদের সঙ্গে, অর্থাৎ আমরা সবাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের। তোমাদের ভাগ্য আমাদেরও ভাগ্য।’
কিয়েভের প্রতি ইইউ-এর সমর্থনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে চার্লস মিশেল আরও বলেন, প্রথম দিন (যুদ্ধ) থেকেই আমাদের সমর্থন পাথরের মতো শক্তিশালী। যুদ্ধে ইউক্রেনকে বিজয়ী করার ব্যাপারে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ।
এদিকে রুশ আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনের যে লাখ লাখ শরণার্থী ইউরোপের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। এ বিষয় উরসুলা ভন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কির এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের শরণার্থীদের ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত আশ্রয় ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।