Can't found in the image content. যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভে ইইউ'র শীর্ষ সম্মেলন | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভে ইইউ'র শীর্ষ সম্মেলন

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৩

যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভে ইইউ'র শীর্ষ সম্মেলন
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর প্রায় এক বছরের মাথায় এই প্রথম যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির রাজধানী কিয়েভে শীর্ষ সম্মেলন করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জোটটির শীর্ষ নেতারা গতকাল শুক্রবার বসেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। এ সময় তাঁরা কিয়েভকে আগের মতোই সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তবে, আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ইইউতে ইউক্রেনের সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি। ইউক্রেন ও ইইউর নেতারা ১৯৯০-এর দশক থেকে এই শীর্ষ সম্মেলন করে আসছেন। তবে গত বছরের জুনে ইইউর প্রার্থিতার মর্যাদা পাওয়ার পর ইউক্রেনের সঙ্গে এটিই প্রথম বৈঠক। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

শুক্রবারের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এবং ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন কিয়েভে পৌঁছেন আগের দিন। কিয়েভে পৌঁছে টুইটে মিশেল বলেন, রাশিয়ার হামলার মুখে কিয়েভের প্রতি ইইউর সমর্থন অব্যাহত থাকবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বৈঠকে কিয়েভের জন্য সামরিক ও মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা নিয়েও আলোচনা হয়।

চলতি বছরের শুরুতেই ইইউতে যোগ দিতে চান জেলেনস্কি। যদিও সদস্য প্রার্থিতার মর্যাদা দেওয়া হলেও তা সদস্য প্রাপ্তির কোনো নিশ্চয়তা দেয় না। গত বছর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছিলেন, পূর্ণ সদস্যপদ পেতে অন্তত এক দশক সময় লাগতে পারে কিয়েভের।

ইইউ চায় ইউক্রেন দুর্নীতি দমন করুক। সম্প্রতি জেলেনস্কি দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন। বরখাস্ত করা হয়েছে মন্ত্রীসহ শীর্ষ অনেক কর্মকর্তাকে। অধিকাংশ ইইউ নেতা বলছেন, দ্রুততম সময়ে ইউক্রেনের সদস্যপদ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, মিডিয়া আইন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতির মতো বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে অনেক মানদণ্ড এবং শর্ত পূরণ করতে হয় সদস্যপদ চাওয়া দেশকে। এসব শর্ত পূরণে ইউক্রেনের আরও অনেক কাজ করতে হবে। শিগগির সদস্যপদ না দেওয়া হলেও কিয়েভকে ইইউর বাজারে আরও বেশি প্রবেশাধিকার দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে শুক্রবার কিয়েভসহ সারা ইউক্রেনে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। এ দিনই ঘোষণা আসে ইউক্রেনকে আরও ৮৮টি লেপার্ড-১ ট্যাঙ্ক দেবে জার্মানি। গত মাসের শেষ দিকে দেশটি তাঁদের তৈরি ১৪টি নতুন লেপার্ড-২ ট্যাঙ্ক পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল।

জার্মানির ট্যাঙ্ক পাঠানোর বিষয়ে এই প্রথম সরাসরি মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্তালিনগ্রাদ শহরের দখল নিয়ে জার্মানি এবং তার মিত্রদের সঙ্গে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের যুদ্ধ শেষের বার্ষিকীতে তিনি বলেন, ৮০ বছর পর আমাদের আবারও জার্মান ট্যাঙ্ক মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ১৯৪২ সালে জার্মান নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের মতোই ইউক্রেনে হামলাকে মহান বলেও অভিহিত করেন পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধে তিনি মস্কোর বিজয়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি ট্যাঙ্ক পাঠানোর জবাব পারমাণবিক অস্ত্রের মাধ্যমে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সতর্ক করেছে, আগামী ছয় মাস ইউক্রেনের জন্য 'সংকটজনক' হবে। বৃহস্পতিবার ওয়শিংটন ডিসিতে সিআইএ-প্রধান উইলিয়াম বার্নস বলেন, পুতিন ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা সমর্থন কমাতে এবং রাজনৈতিক ক্লান্তির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।