প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পাখি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে বেলুন উড়িয়ে ২০ তম ’পাখিমেলা ২০২৩’ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের আয়োজনে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলা উপলক্ষে দিনব্যাপি পাপেট শো, পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখি প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা, ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা, বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন, পাখিচেনা প্রতিযোগিতা, বই প্রদর্শনী , পুরস্কার বিতরণী প্রভৃতির আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, প্রতিবছর শীতের মৌসুমে অতিথি পাখিদের আগমনে প্রাণ ফিরে পায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ। বিগত বছরগুলোতে প্রচুর পাখি আসত ক্যাম্পাসের লেকগুলোতে। এবছরও পাখি এসেছিল কিন্তু ক্যাম্পাসের শব্দদূষণ আর লেক পর্যাপ্ত পরিষ্কার না থাকায় প্রায় সবগুলো লেক থেকে পাখি চলে গেছে। শুধুমাত্র ‘ওয়াইল্ড রেসকিউ সেন্টার’ (ডব্লিউআরসি) এর একটা লেকে এখনো পাখি রয়েছে। আমরা সচেতন হতে পারলে পাখিদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে সংরক্ষণ করা সম্ভব । ক্যাম্পাসে উচ্চ শব্দে কোন অনুষ্ঠান করা থেকে বিরত থাকলে এবং পাখিদের বিরক্ত না করলে পাখিরা নিরাপদ পরিবেশ পাবে।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ক্যাম্পাসে অতিথি পাখি কম থাকলেও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল উপচেপড়া। ঢাকা সহ দূর দুরান্ত থেকে অনেকে পরিবারের সাথে পাখি মেলা দেখতে ছুটে আসেন।
মেলায় ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন,‘পাখি মেলা দেখতে এসে খুবই ভালো লাগছে। প্রায় প্রতিবছর জাহাঙ্গীরনগরে আসি পাখি দেখতে। আজকে পরিবারের সাথে ঘুরতে এসে আমরা সবাই আনন্দিত’।
পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০১ সালে ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো পাখি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দুইবার মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব। এরপর থেকে জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ পাখি মেলার আয়োজন করে আসছে।