ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, নভেম্বর ৫, ২০২৪ |

EN

নেতাকর্মীদের গায়ে হাত আসলে পালটা হাত তুলতে হবে: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২৩

নেতাকর্মীদের গায়ে হাত আসলে পালটা হাত তুলতে হবে: গয়েশ্বর
দলের নেতাকর্মীদের গায়ে হাত আসলে পাল্টা হাত তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সোমবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর দেশব্যাপী যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুতের মূল্য কমানোর দাবি এবং সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

বিএনপির সমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবিতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসে’ আগামী ২৫ জানুয়ারি সারা দেশে সব মহানগর ও জেলা সদরে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আলাদাভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে একই কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১২ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও এলডিপিও। 

সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি। এই দিনটিকে বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ১০ দফা দাবিসহ বিদ্যুতের মূল্য কমানোর দাবিতে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে সমাবেশ হয়। পরে একটি মিছিল কাকরাইলের নাইটেঙ্গল মোড় ঘুরে ফকিরেরপুল মোড় প্রদক্ষিণ করে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শত চেষ্টা করলেও সরকারকে কেউ রাখতে পারবে না। পদে পদে শুধু ব্যর্থ নয়; এই সরকার ফ্যাসিস্ট, অত্যাচারী ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। গুম, খুন করে দমিয়ে রাখা যাবে না। সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে, রুখে দাঁড়াবে। 

‘নেতাকর্মীদের গায়ে হাত আসলে, পালটা হাত তুলতে হবে। শুধুমাত্র আমাদের মার খাওয়ার জন্য জন্ম হয়নি। অন্যায়কারীদের গায়ে হাত তোলা নৈতিক দায়িত্ব।'

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, হাত চালানোর আগে সাবধানে চালাবেন। আমরাও হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। আমরা আমাদের দাবি আদায় করব।

ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ। 

পরে বিক্ষোভ মিছিলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়াও অংশ নেন- দলের কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, রকিবুল ইসলাম বকুল, মাশুকুর রহমান মাশুক, মীর নেওয়াজ আলী, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সাইফুল আলম নিরব, আকরামুল হাসান মিন্টু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, মহানগর বিএনপির নবী উল্লাহ নবী, যুবদলের মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজিব আহসান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, তাঁতী দলের কাজী মুনীরুজ্জামান মুনীর, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।