সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অসুস্থ রাজনীতি করে নেতাদের পাশাপাশি বিএনপিও অসুস্থ হয়ে গেছে। তাই দলটিকে হাসপাতালে পাঠানো প্রয়োজন। বিএনপির সঙ্গে যারা জোট করেছে তারাও অসুস্থ।
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেলসহ উন্নয়নের একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়নে বিএনপি চোখে শর্ষে ফুল দেখছে। কারণ, তারা এসব উন্নয়ন কখনোই দেখাতে পারেনি। খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় বিএনপির মনে জ্বালা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শত শত সেতু। সামনে ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ আরেকটি মেট্রোরেললাইন হবে এবং পাতালরেলের উদ্বোধন হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি এমআরটি লাইন গড়ে ঢাকার আশপাশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, মতবিনিময় হয়েছে। ত্রুটিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার কথা তাঁকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। সুতরাং, সকল ষড়যন্ত্র ও সরকার হঠানোর খেলা বাদ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপিকে আহ্বান জানাই।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশে ভেসে আসা দল নয়। এ দলের শেকড়ের অনেক গভীরে। সরকার পতন করবেন, শেখ হাসিনাকে হটাবেন, বাংলার মানুষ চুপ করে বসে থাকবেন না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষের জানমাল নিয়ে খেললে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে খেলা হবে। তুমুল খেলা হবে, প্রতিদানমূলক খেলা হবে। রাজপথে থেকে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদেরকে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
যারা সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় তাদের প্রতিহত করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় এবং দেশের শান্তির জন্যই আমাদের আজকের সমাবেশ।
তিনি বলেন, সত্য কথা বলার কিংবা আমার কথার উত্তর দেওয়ার মত সাহস ফখরুলদের নেই। তারা মিথ্যাচারের রাজনীতি করে। চারিদিকে সরকার যে উন্নয়ন করছে, সে উন্নয়নে অন্তরের জ্বালায় সরষে ফুল দেখছে বিএনপি।