কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে, সে পর্যন্ত বিএনপির হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ, গণঅবস্থান, মানববন্ধনসহ আন্দোলন আন্দোলন খেলা চলতে থাকবে। তবে আমি মনে করি, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আর তারা যদি মনে করে সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, সেটি অবাস্তব ও সংবিধানবিরোধী। দেশে সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
শনিবার(১৪ জানুয়ারী২৩)ইং দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুরের বঙ্গবন্ধু আকাশী ক্লাব আয়োজিত ১৫তম ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবে, এটি বিএনপির অবাস্তব ও অলীক স্বপ্ন। ২০০৮ সালের নির্বাচনকে তারা মেনে নেয়নি, ২০১৪ সালের নির্বাচনকে তারা বর্জন করে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালে একটানা ৯০ দিন হরতাল অবরোধ করেছে, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবেন না বলে খালেদা জিয়া বিএনপির অফিসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ৯০ দিন আন্দোলনের পর মুখে কালিমা মেখে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন। তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সুবোধ বালকের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল।
আবহমান বাঙালি ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঘোড়দৌড় আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। সুস্থ বিনোদনের পাশাপাশি ঘোড়দৌড়কে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। পুরো মধুপুর উপজেলায় উৎসব আনন্দের আবহ তৈরী হয়। সেজন্য ঘোড়দৌড়, নৌকাবাইচ, হাডুডুসহ সকল লোকজ সংস্কৃতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে সংসদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কাউসার, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে দুপুরে মন্ত্রী টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা হলরুমে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন।
এসময় মধুপুর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীনের সভাপতিত্বে সভায় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।