ইউক্রেন যুদ্ধ জিততে মরিয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। টানা ১১ মাসের যুদ্ধে এখনও জয় পরাজয় নির্ধারিত হয়নি। শীত মৌসুমের অপেক্ষায় ছিলেন পুতিন। শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনে হামলার জোরদার করেছেন তিনি।
ইউক্রেন যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে রণকৌশলে পরিবর্তন এনেছেন সাবেক কেজিবি প্রধান পুতিন। এরই অংশ হিসেবে তার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনে দেশটির যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য রাশিয়ার সবচেয়ে সিনিয়র জেনারেল ও চিফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে দায়িত্ব দিয়েছে।
কে এই গেরাসিমভ?
২০১২ সালের ৯ নভেম্বর জেনারেল স্টাফ প্রধান ও উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে গেরাসিমভকে দায়িত্ব দেন পুতিন। এর তিন দিন আগে সের্গেই শোইগুকে প্রতিরক্ষমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে পারমাণবিক হামলার নির্দেশ দেওয়ার যে তিনটি ব্রিফকেস রয়েছে সেগুলোর একটি করে বহন করেন পুতিন, শোইগু ও গেরাসিমভ।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন গেরাসিমভ। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে পট-পরিবর্তনকারী রুশ সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিল।
ইউক্রেনে আক্রমণের একদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ইউক্রেন যুদ্ধের পুতিন বাদে অপর যেসব ব্যক্তি সরাসরি দায়ী গেরাসিমভ তাদের একজন।
তবুও মাঝেমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মাইলির কথা বলেন গেরাসিমভ।
১৯৫৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর কাজানে জন্ম এই রুশ জেনারেলের। মিলিটারি অ্যাকাডেমি অব দ্য জেনারেল স্টাফ থেকে ১৯৯৭ সালে স্নাতক পাস করে পদোন্নতি পেয়ে এই অবস্থানে পৌঁছেছেন তিনি।
এদিকে রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এবং চেচনিয়ার রুশ অংশের নেতা রমজান কাদিরভ সমালোচনা করেছেন গেরাসিমভের। তারা যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের সাফল্যের দাবি করছেন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমর্থকরা বলছেন, যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়া প্রায়ই দুর্বল দক্ষতা দেখিয়েছে। রসদ, প্রযুক্তি ও শৃঙ্খলার মতো অনেক সমস্যা দশ মাস পরও বিরাজমান।
সূত্র: রয়টার্স।